National news

মায়ানমারে বিরলতম গ্রুপের রক্ত পাঠিয়ে মহিলার প্রাণ বাঁচাল কর্নাটক

শেষে বেঙ্গালুরু থেকে ওই রক্তসংগ্রহ করা সম্ভব হয়। তিন দিনের নিরন্তুর যাত্রার পর বেঙ্গালুরু থেকে মায়ানমার গিয়ে পৌঁছয় ওই রক্ত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

দু’হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ অতিক্রম করে এক মহিলারজীবন বাঁচাল বিরলতম রক্ত বম্বে ব্লাড গ্রুপ।মায়ানমারে হৃৎপিণ্ডের অস্ত্রোপচার হওয়া এক মহিলার প্রাণ সংশয় ছিল। দুই ইউনিট রক্তের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাধ সাধে মহিলার রক্তের গ্রুপ। তাঁর শরীরে বিরলতম বম্বে ব্লাড গ্রুপের রক্ত রয়েছে। শেষে বেঙ্গালুরু থেকে ওই রক্তসংগ্রহ করা সম্ভব হয়। তিন দিনের নিরন্তুর যাত্রার পর বেঙ্গালুরু থেকে মায়ানমার গিয়ে পৌঁছয় ওই রক্ত।

Advertisement

বম্বে ব্লাড গ্রুপের রক্ত এতটাই বিরল যে বিশ্বের মাত্র ০.০০০৪ শতাংশ মানুষের শরীরে এই গ্রুপের রক্ত রয়েছে। মায়ানমারের ইয়াগং জেনারেল হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত ওই মহিলার অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু সারা মায়ানমারখুঁজেও বম্বে ব্লাড গ্রুপের রক্তের খোঁজ মেলেনি। খোঁজ মেলে বেঙ্গালুরুতে। রক্তের সন্ধান পেলেও আরও একটা সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দাতা বা গ্রহীতা কিংবা গ্রহীতার কোনও আত্মীয়-পরিজনের পক্ষেই এই দূরত্ব পাড়ি দিয়ে রক্ত আনা সম্ভব ছিল না।

উপায় বাতলায় বেঙ্গালুরু সঙ্কল্প ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন। এই সংস্থাটি বম্বে ব্লাড গ্রুপ-সহ বিভিন্ন বিরল রক্তের খোঁজখবর রাখে। জরুরি পরিস্থিতিতে বিরল রক্ত পৌঁছে দেওয়াই এর কাজ।শেষে ক্যুরিয়ার মারফত ওই প্রয়োজনীয় ২ ইউনিট রক্ত পৌঁছে দেওয়া হয় মায়ানমারে। পৌঁছতে সময় লাগে ৩ দিন। যাতে কোনওভাবে রক্ত নষ্ট না হয়ে যায় তার জন্য ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা ছিল এই দীর্ঘ পথ।

Advertisement

আরও পড়ুন: বম্বে গ্রুপের রক্তের নাম কেন বম্বে গ্রুপ হল জানেন!

আরও পড়ুন: গ্রামবাসীদের জল পৌঁছতে সরকারকে ৫০০ কোটি ঋণ দিচ্ছে সাইবাবা মন্দির

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন