গাঁধী-হত্যার পুনর্তদন্ত নয়, পরামর্শ কোর্টকে

মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর হত্যার পুনর্তদন্তের কোনও প্রয়োজন নেই, সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা চলাকালীন প্রবীণ কৌঁসুলি তথা এই মামলায় শীর্ষ আদালতের পরামর্শদাতা অমরেন্দ্র শরণ আজ এই কথা জানালেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:২৪
Share:

ছবি সৌজন্য: উইকিপি়ডিয়া।

মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর হত্যার পুনর্তদন্তের কোনও প্রয়োজন নেই, সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা চলাকালীন প্রবীণ কৌঁসুলি তথা এই মামলায় শীর্ষ আদালতের পরামর্শদাতা অমরেন্দ্র শরণ আজ এই কথা জানালেন। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই যা থেকে মনে হয় ‘চতুর্থ’ কোনও রহস্যময় ব্যক্তি গাঁধীকে খুন করেছিল।

Advertisement

সম্প্রতি গাঁধী-হত্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পঙ্কজ ফডণীস নামে এক গবেষক (মুম্বইয়ের ‘অভিনব ভারত’-এর ট্রাস্টি) সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তিনি আর্জিতে জানান, গাঁধী হত্যাই ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা যেখানে আসল সত্যটাকে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। গাঁধী-হত্যায় ‘তিনটি বুলেট’-এর তত্ত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ফডণীস জানান, চতুর্থ একটি বুলেটও গাঁধীর শরীর এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় করেছিল। নাথুরাম গডসে নয়, সেই চতুর্থ বুলেটটি এসেছিল অন্য কারও পিস্তল থেকে। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি খুন করা হয়েছিল গাঁধীকে। চার্জশিটে ১২ জনের নাম ছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন রাজসাক্ষী হয়েছিলেন। পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়। এর মধ্যে তিন জনকে পলাতক ঘোষণা করা হয়। ১৯৪৯ সালের ২১ জুন তৎকালীন পূর্ব পঞ্জাব হাইকোর্ট দু’জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। ১৫ নভেম্বর ফাঁসি হয় গডসে ও নারায়ণ দত্তাত্রেয় আপ্তের। ফডণীস জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার পরে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে গাঁধী-হত্যা নিয়ে দায়রা আদালতের চার হাজার পাতার রেকর্ড পরীক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শরণকে। শরণ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কোনও বিদেশি গুপ্তচর সংস্থার হাত থাকার অভিযোগও ভিত্তিহীন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন