নিষেধাজ্ঞার বিরাম নেই। হাঙ্গামারও। এমনকী রেহাই নেই বাচ্চাদের স্কুলেরও। কেন্দ্রবিন্দু সেই সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘পদ্মাবত’। সে যতই সেন্সর বোর্ডের সুপারিশে তার ‘পদ্মাবতী’ নাম পাল্টে যাক না কেন!
বিজেপি-শাসিত রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ ইতিমধ্যেই ‘পদ্মাবত’-কে নিষিদ্ধ করেছে। ব্যতিক্রম হলেন না বিজেপির আর এক মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরও। তাঁর হরিয়ানাতেও মুক্তি পাবে না ‘পদ্মাবত’। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ আজ সাফ এ কথা জানিয়েছেন।
ছবিটিতে ইতিহাস-বিকৃতির অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন ধরেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে রাজপুত করণী সেনা-সহ কিছু গোষ্ঠী। হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিজ জানান, মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে ছবিটিকে ছাড়পত্র দেওয়ার কথাই ভেবেছিলেন। কিন্তু তিনি (ভিজ) এবং অন্য মন্ত্রীরা তখন বলেন, ছবিটি মুক্তি পেলে মানুষের আবেগে আঘাত লাগতে পারে। তার প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলায়। তখন আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক হয়, ছবিটি হরিয়ানায় মুক্তি পাবে না।
গত কাল মধ্যপ্রদেশের সেন্ট পলস স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে করণী সেনার বিরুদ্ধে। অনুষ্ঠানে ‘পদ্মাবত’-এর ‘ঘুমর’ গানটির সঙ্গে নাচছিল খুদেরা। এই সময়েই স্কুলে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে থাকে একদল কলেজ পড়ুয়া। অভিযোগ, তারা প্রত্যেকেই করণী সেনার সদস্য। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্কুলে ঢুকে বাচ্চাদের ধাক্কা মারতে শুরু করে ২০-২৫ জন বিক্ষোভকারী। তাতে একটি শিশু আঘাত পায়। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করা হয়। চেয়ার-টেবিল থেকে শুরু করে মিউজিক সিস্টেম— সবই ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, তারা স্থানীয় ভগৎ সিংহ পিজি কলেজের পড়ুয়া। ওই ঘটনায় চার যুবককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও সরাসরি এই ঘটনার দায় নিতে চায়নি রাজপুত করণী সেনা। তাদের তরফে সুরেন্দ্র ভাটি বিষয়টির নিন্দা করে বলেন, ‘‘আমরা আমাদের সম্মান রক্ষার জন্য লড়ছি, লড়ব। কিন্তু আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের কোনও সদস্য যদি এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’’