পর্যাপ্ত যাত্রী না মেলায় রাজধানী বা দুরন্তের মতো কয়েকটি ট্রেন থেকে ‘এসি-টু-টিয়ার’ কামরা তুলে দিতে চেয়ে প্রস্তাবের কথা দিন কয়েক আগেই জানিয়েছে রেল। একই সঙ্গে ফ্লেক্সি ফেয়ারেও পরিবর্তন করতে চায় তারা।
চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে ভাড়া বৃদ্ধির (ফ্লেক্সি-ফেয়ার) নীতিতে রেলের আয় বাড়লেও যাত্রী কমেছে। বাড়তি ভাড়ার কারণে বিমানের কাছে আরও যাত্রী হারানোর আশঙ্কায় এ বার প্রিমিয়ার শ্রেণির ওই ট্রেনগুলিতে ‘হামসফর-এক্সপ্রেস’ এর ভাড়া নির্ধারণের পদ্ধতি কার্যকর করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে রেল সূত্রে খবর।
বাতানুকূল শ্রেণিতে স্বাচ্ছন্দ্য এবং যাত্রী ভাড়ার মধ্যে ভারসাম্য রাখতেই ওই ব্যবস্থা বলে রেল সূত্রের দাবি।
কী ওই ব্যবস্থা? রেল সূত্রে খবর, হামসফর-এক্সপ্রেসের সব কামরাই এসি-থ্রি-টিয়ার। তবে অন্য ট্রেনের ‘এসি-থ্রি’ কামরার তুলনায় স্বাচ্ছন্দ্য কিছুটা বেশি।
একই সঙ্গে যাত্রী ভাড়াও এসি-থ্রি কামরার আসনের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। পঞ্চাশ শতাংশ টিকিট মূল ভাড়ায় বিক্রি হওয়ার পর প্রতি ১০ শতাংশ আসনের জন্য ভাড়া ১০ শতাংশ হারে বাড়তে থাকে। ট্রেনের যাত্রা শুরু থেকে শেষ গন্তব্য পর্যন্ত দূরত্বে যাঁরা আসন সংরক্ষণ করেন তাঁদের তুলনায় যাঁরা মাঝের কম দূরত্বে আসন সংরক্ষণ করেন তাঁদের ভাড়া অনেকটাই বেশি। মূলত খালি আসন এড়াতেই ওই ব্যবস্থা।
রেল সূত্রে খবর, হামসফর এক্সপ্রেসের মতো ভাড়া চালু হলে যাত্রীদের উপর চড়া ভাড়ার বোঝা খানিকটা কমবে।
রেলের এক কর্তা বলেন,“ফ্লেক্সি-ফেয়ার থেকে যে ভাবে টাকা আসছে তাতে ওই ব্যবস্থা বন্ধ করা মুশকিল। তবে বিমানের কাছে যাত্রী হারানোটাও উদ্বেগের। তাই দুয়ের মধ্যে সমতা খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে।”
রাজধানী এবং দুরন্তের যে সব রুটে যাত্রীসংখ্যা ৩০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে, সেখানে সাময়িক ভাবে ক্ষতি এড়াতে ‘ফ্লেক্সি-ফেয়ার’ কিছু দিনের জন্য স্থগিত রাখা হতে পারে।
তবে ‘হামসফর’ মডেলের কার্যকারিতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রেল কর্তাদের একাংশ। ২০১৬ সালে চালু হওয়া ওই ট্রেন এখনও দারুণ সফল কিছু নয়। সেখানেও সব আসন ভরে না। রাজধানী-দুরন্ত বা শতাব্দীতে ওই ট্রেনের মতো ব্যবস্থা চালু হলে ওই হামসফর ট্রেনগুলি অর্থহীন হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন রেলেরই এক কর্তা।