জুনেইদ কি বিদ্বেষের বলি, ধন্দে পুলিশই

২২ জুন দিল্লিতে ইদের বাজার সেরে হরিয়ানার বল্লভগড়ের বাড়িতে ফেরার সময়ে ট্রেনে খুন হয় জুনেইদ। এক দল দুষ্কৃতী গো-মাংস খাওয়া ও গো-হত্যার জন্য তাকে মারধর করে ছুরি দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বল্লভগড় শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩৪
Share:

জুনেইদ খান

বল্লভগড়ের কাছে ট্রেনে জুনেইদ খানের হত্যাকাণ্ড গো-রক্ষকদের তাণ্ডব কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। মূল অভিযুক্ত নরেশ রাখকে জেরা করে এখনও ঘটনায় ধর্মীয় বিদ্বেষের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে দাবি তদন্তকারীদের। ছেলের খুনির মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন জুনেইদের বাবা জালালউদ্দিন।

Advertisement

২২ জুন দিল্লিতে ইদের বাজার সেরে হরিয়ানার বল্লভগড়ের বাড়িতে ফেরার সময়ে ট্রেনে খুন হয় জুনেইদ। এক দল দুষ্কৃতী গো-মাংস খাওয়া ও গো-হত্যার জন্য তাকে মারধর করে ছুরি দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। হামলায় আহত হয় জুনেইদের দাদা শাকির এবং অন্য দুই তরুণ মইন ও মহসিন। ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে জানায় পুলিশও। ফলে ফের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান বিরোধীরা।

আগেই এই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গতকাল মহারাষ্ট্রের ধুলে এলাকার সাকরি থেকে মূল অভিযুক্ত নরেশ রাখকে গ্রেফতার করে হরিয়ানা পুলিশের একটি দল। মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিজি-র দফতর জানিয়েছে, হরিয়ানার নরেশ দিল্লিতে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত। ট্রেনে খুনের ঘটনার পরে কিছু দিন সে দিল্লিতেই গা ঢাকা দিয়েছিল। পরে মহারাষ্ট্রের ধুলেতে আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে। গতকাল হরিয়ানা পুলিশের দল তাকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

আরও পড়ুন: মসুলে পৌঁছেই জয়ের খবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী

হরিয়ানা রেল পুলিশের দাবি, জুনেইদকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে নরেশ। কিন্তু খুনের আগে সে জুনেইদকে গো-মাংস খাওয়ার কথা বলে গালিগালাজ করেছে, এমন তথ্য জানা যায়নি। খুনের অস্ত্রও এখনও উদ্ধার হয়নি।

জুনেইদের বাবা জালালউদ্দিনের দাবি, খুনির ফাঁসি হওয়া উচিত। পাশাপাশি গণপ্রহারে খুন রুখতে আলাদা আইনও আনা উচিত ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন