China

অরুণাচলে ঢুকে গ্রাম বানানোর অভিযোগ চিনা সেনার বিরুদ্ধে

বক্তব্যের সমর্থনে একটি উপগ্রহ চিত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। সেটি ২০২০ সালের ১ নভেম্বর তোলা হয়েছে বলে দাবি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:০৪
Share:

অরুণাচলের ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনের সেই গ্রামের উপগ্রহ চিত্র।

লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) টানাপড়েনের মধ্যেই অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে ‘চিনা আগ্রাসনের অভিযোগ’ সামনে এল। উত্তর সুবনসিরি জেলায় এলএসি লঙ্ঘন করে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে চিনা ফৌজ সেখানে আস্ত একটি গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে বলে একটি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত খবরে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

প্রকাশিত খবরে দাবি, তাসরি চু নদীর তীরে বানানো ওই গ্রামে প্রায় ১০১টি ঘর তৈরি করেছে চিনা সেনা। বক্তব্যের সমর্থনে একটি উপগ্রহ চিত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। সেটি ২০২০ সালের ১ নভেম্বর তোলা হয়েছে বলে দাবি। সেই সঙ্গে ২০১৯ সালের ২৬ অগস্টে ঠিক একই এলাকার একটি উপগ্রহ ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ছবিতে জঙ্গলাকীর্ণ নদীর তীরে জনবসতির কোনও চিহ্ন নেই। আড়াই মাস আগে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাড়ির সারি। দাবি করা হয়েছে, ওই এলাকার অবস্থান এলএসি-র অন্তত সাড়ে ৪ কিলোমিটার অন্দরে, ভারতীয় ভূখণ্ডে।

কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত খবরের সরাসরি বিরোধিতা করা হয়নি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘গত কয়েক বছরে চিন এলএসি বরাবর পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে। এ বিষয়ে সাম্প্রতিক কিছু রিপোর্টও এসেছে’। প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে আরুণাচলের বিজেপি সাংসদ টাপির অভিযাগ করেছিলেন, আপার সুবনসিরি জেলায় এলএসি পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে স্থায়ী কাঠামো বানাচ্ছে চিন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, নভেম্বরেই ডোকলামের অদূরে ভুটান সীমান্তের দু’কিলোমিটারেরও বেশি ভিতরে এসে ‘পাংদা’ নামে একটি গ্রাম তৈরির অভিযোগ উঠেছিল চিনের বিরুদ্ধে। যদিও চিনা বিদেশ দফতর সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।

আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপের নয়া নীতিতে স্থগিতাদেশ দিল না দিল্লি হাইকোর্ট

আরও পড়ুন: টিকা নেওয়ার পর মৃত, টিকাকরণের যোগ নেই বলে দাবি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন