ভারতের সামরিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ‘হ্যাক’ করার চেষ্টার অভিযোগ। — প্রতীকী চিত্র।
ভারতের সামরিক তথ্য চুরির চেষ্টা করছে ‘পাকিস্তানি’ হ্যাকারেরা! ‘পাকিস্তান সাইবার ফোর্স’ নামে একটি সমাজমাধ্যম হ্যান্ডল থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা ভারতের দু’টি সামরিক প্রতিষ্ঠানের সংবেদনশীল তথ্য পেয়ে গিয়েছে। তাদের দাবি, ভারতের ‘মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস’ (এমইএস) এবং ‘মনোহর পর্রিকর ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ় অ্যান্ড অ্যানালিসিস’ থেকে বেশ কিছু সংবেদনশীল তথ্য তারা পেয়েছে। ওই দাবির ভিত্তিতে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের সঙ্গে সম্পর্কিত ‘লগ-ইন’ তথ্য-সহ কিছু ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হলেও হয়ে থাকতে পারে।
এএনআই জানিয়েছে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ সরকারি মালিকানাধীন সংস্থা ‘আরমার্ড ভেহিকল নিগম লিমিটেড’-এর ওয়েবসাইটও হ্যাক করার চেষ্টা হয়েছে। ওই ওয়েবসাইটটি বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ‘পাকিস্তানি সাইবার ফোর্স’ নামে ওই সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলের পাতায় বিকৃত ওয়েবসাইটটির ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে একটি পাকিস্তানি পতাকা এবং একটি সামরিক ট্যাঙ্কের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এএনআই সূত্রে খবর, ওই ঘটনার পর সাবধানতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে ‘আরমার্ড ভেহিকল নিগম লিমিটেড’-এর সরকারি ওয়েবসাইটটি আপাতত ‘অফলাইন’ করে দেওয়া হয়েছে। ওয়েবসাইটটি বিকৃত করার চেষ্টার সময় সেটিতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করার জন্যই সাময়িক ভাবে ওয়েবসাইটটি ‘অফলাইন’ করা হয়েছে বলে খবর।
পহেলগাঁও কাণ্ড-পরবর্তী সময়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি রাতে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে উঠেছে পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতের বিভিন্ন সামরিক ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টাতেও বার বার নাম জড়িয়েছে ‘পাকিস্তানি’ হ্যাকারদের। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ‘পাকিস্তান ভিত্তিক’ হ্যাকারদের একাধিক সমন্বিত সাইবার আক্রমণ প্রতিহত করেছে ভারত।
সংবাদ সংস্থা এনআইএ-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সাম্প্রতিক কালে ‘ইন্টারনেট অফ খিলাফাহর’ (আইওকে) নামে একটি হ্যাকার গোষ্ঠীর নাম বার বার উঠে এসেছে। অন্তত চারটি এমন ঘটনা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। প্রত্যেক বারই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পরিষেবা ব্যাহত করা এবং ব্যক্তিগত তথ্য হাতানোর চেষ্টা করেছিল হ্যাকারেরা। যদিও বহুস্তরীয় সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা ভেদ করে হ্যাক করতে পারেনি তারা।