প্রথমে চিনকে সমর্থন, এ বার ফাঁকা মাঠে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন মিজোরামে

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে এর আগে মিজোরামে যৌথ মিছিলও বের করে নেসো, এমজেডপি, ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন। সেই মিছিলে ভারত বিরোধী পোস্টারের পাশাপাশি দেওয়া হয়েছিল চিনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও। বলা হয়েছিল ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’। সেই মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন অন্তত তিরিশ হাজার মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

আইজল শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:৪৫
Share:

আইজলে ফাঁকা মাঠে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন। ছবি: সংগৃহীত।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে সুর চড়াচ্ছে মিজোরাম। বৃহস্পতিবারই ‘চিন জিন্দাবাদ’ স্লোগান-পোস্টারে মিছিল বেরিয়েছিল আইজলে। দেওয়া হয়েছিল প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কটের ডাক। আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত করে শনিবার প্রায় ফাঁকা মাঠেই প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করলেন মিজোরামের গভর্নর কুম্মানাম রাজশেখরন। মন্ত্রী, বিধায়ক এবং কিছু আমলা ছাড়া এই অনুষ্ঠানে প্রায় কেউই ছিলেন না বলে জানানো হয়েছে মিজোরাম পুলিশের তরফে।

Advertisement

প্রথামাফিক প্রজাতন্ত্র দিবস পালনে কোনও ত্রুটি ছিল না মিজোরামের রাজধানী আইজলে। ছয় কোম্পানি সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশ নেয় আরও ৩০ কোম্পানি অন্যান্য বাহিনীও। যদিও আয়োজনই ছিল সার। নিয়মমাফিক প্রজাতন্ত্র দিবস, রাজ্যপালের ভাষণ, ছিল সবই, কিন্তু তা দেখার জন্য হাজির ছিলেন না কেউই। একই পরিস্থিতি ছিল মিজোরামের অন্যান্য জেলা শহরেও। কোথাও কোথাও আমলা এবং সরকারি কর্তারাও ছিলেন না। বাধ্য হয়ে ডেপুটি কমিশনাররাই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দায় সারেন। মহকমা এবং ব্লক স্তরেও ছবিটা ছিল এইরকমই।

সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। তা চরম রূপ নিয়েছে মিজোরামে। সেই কারণেই প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কটের ডাক। বয়কটের ডাক দিয়েছিল এনজিও কো-অর্ডিনেশন কমিটি, যার ছাতার তলায় আছে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন এবং নাগরিক সমাজের একটি বড় অংশও।

Advertisement

আরও পড়ুন: আরএসএসের সদর দফতরে যাওয়ার জন্যই কি ‘ভারতরত্ন’ প্রণব? দাবি জেডিএস-এর

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে এর আগে মিজোরামে যৌথ মিছিলও বের করে নেসো, এমজেডপি, ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন। সেই মিছিলে ভারত বিরোধী পোস্টারের পাশাপাশি দেওয়া হয়েছিল চিনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও। বলা হয়েছিল ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’। সেই মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন অন্তত তিরিশ হাজার মানুষ। সেখানে নেতাদের বক্তব্য ছিল, ‘‘ভারত সরকার যখন আমাদের কথা শুনছে না, তখন চিনের প্রতি হাত বাড়ানোই ভাল। ’’

আরও পড়ুন: পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিলেন নবীন পট্টনায়েকের বোন গীতা মেটা

প্রজাতন্ত্র দিবসের বক্তব্যে বিষয়টি ছুঁয়ে যান রাজ্যপাল কুম্মানাম রাজশেখরনও। তাঁর ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্যের সীমানা সুরক্ষিত রাখতে কড়া প্রহরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় যে মানুষেরা বসবাস করেন, তাঁদের উন্নয়ন এবং জীবন-জীবিকার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’’

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন