Telangana Tunnel Collapsed

২৪ ঘণ্টা পার, তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গে এখনও আটক আট শ্রমিক! মাঝে আড়াই কিমি দীর্ঘ পথ ধ্বংসস্তূপে আটকে

এসডিআরএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার ভিতরে আটকে রয়েছেন শ্রমিকেরা। উদ্ধারকারীরা সুড়ঙ্গের ১১ কিমি পর্যন্ত ঢুকতে পেরেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৩
Share:

সুড়ঙ্গের ভিতরে উদ্ধারকারী দল। ছবি: এক্স।

২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত, তেলঙ্গানার শ্রীসৈলাম সুড়ঙ্গে এখনও আটকে আট শ্রমিক। কাদাজলে ভরে গিয়েছে সুড়ঙ্গ। উদ্বেগ আরও বাড়ছে। অন্য দিকে, শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগও সম্পূর্ণ ভাবে ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সুড়ঙ্গের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার ভিতরে আটকে রয়েছেন ওই আট শ্রমিক। সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢুকেছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু সমস্যা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলেছে সুড়ঙ্গের ভিতরের কাদাজল। তাই এগোতে পারছেন না তাঁরা। শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁদের নাম ধরে ডাকা হচ্ছে এই আশায় যে, ওঁদের তরফ থেকে কোনও উত্তর আসবে!

Advertisement

ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) বেশ কয়েকটি দল উদ্ধারের কাজে নেমেছে। উদ্ধারের জন্য ডাকা হয়েছে সেনাও। এসডিআরএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার ভিতরে রয়েছেন শ্রমিকেরা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কোমরসমান কাদাজলে ভরে গিয়েছে সুড়ঙ্গ। সুড়ঙ্গের ভিতরে অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। জল বার করার জন্য ১০০ হর্সপাওয়ারের পাম্প আনা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, ১১ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছেন তাঁরা। কিন্তু শ্রমিকদের উদ্ধার করতে আরও আড়াই কিমির বাধা পেরোতে হবে তাঁদের। সেই বাধা পেরোনোই এখন উদ্ধারকারীদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

উদ্ধারকাজে নেমেছে এনডিআরএফের ১৪৫ জন এবং এসডিআরএফের ১২০ জন সদস্য। উদ্ধারকাজের জন্য বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। এসডিআরএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা ভিতরে ঢুকলেও বেশি দূর এগোতে পারছেন না। ভিতরে সুড়ঙ্গের অনেকটা অংশ ধসে গিয়েছে। সুড়ঙ্গের ভিতরে কাদাভর্তি। যত ক্ষণ না জল বার করা হচ্ছে, কাদা পরিষ্কার করা যাবে না। ভিতরে আটকে থাকা আট শ্রমিকদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের দু’জন, ঝাড়খণ্ডের চার জন, জম্মু-কাশ্মীর এবং পঞ্জাবের এক জন করে রয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement