Telangana Tunnel Collapsed

সপ্তাহ পার! তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গে পৌঁছল বোরিং যন্ত্র, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা

সুড়ঙ্গের ভিতরে জল এবং কাদা ভরে গিয়েছে। তা রবিবার থেকেই বার করার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু কাজ বার বার থমকে যাচ্ছে জল আর কাদার কারণেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫ ১৭:০১
Share:

তেলঙ্গানার সেই সুড়ঙ্গে চলছে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা। ছবি: পিটিআই।

উদ্ধারকারী দলের সদস্যসংখ্যা ৫০০ জনেরও বেশি! যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ক্রমাগত উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের সন্ধান মেলেনি। গত ২২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আর তাঁদের সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীর সদস্যেরাও রয়েছেন উদ্ধারকারী দলে। তবে শেষ কয়েক মিটারের বাধা পেরিয়ে এখনও আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। ‘টানেল বোরিং মেশিন’-এর মাধ্যমে খননের চেষ্টা চলছে। জল, কাদা, ধ্বংসস্তূপ ওই যন্ত্রের মাধ্যমে কেটে সরিয়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো যায় কি না, সেই চেষ্টাতেই উদ্ধারকারীরা।

Advertisement

গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তেলঙ্গানার শ্রীশৈলম সুড়ঙ্গের একাংশ আচমকাই ধসে যায়। দুর্ঘটনার সময় ওই সুড়ঙ্গে আট জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। ধসের ফলে সেখানেই আটকে পড়েন তাঁরা। ওই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের অবস্থা কী, তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। তাঁদের পরিবারও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, ভাল খবরের আশায়। আটকে পড়া এক শ্রমিকের আত্মীয় গুরপ্রীত সিংহের দাবি, গত এক সপ্তাহ ধরে খবর পাওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু এখনও কোনও তথ্য পাননি। অন্য এক শ্রমিকের পরিবারের সদস্য সুড়ঙ্গের ভেতর প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু অনুমতি পাননি।

সুড়ঙ্গের ভিতরে জল এবং কাদা ভরে গিয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তা বার করার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু কাজ বার বার থমকে যাচ্ছে জল আর কাদার কারণেই। উদ্ধারকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুড়ঙ্গের শেষ ৪০-৪৫ মিটার জল, কাদায় ভরে রয়েছে। সেই জল, কাদা ঠেলে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোই বড় চ্যালেঞ্জ। পুলিশ সুপার বৈভব গায়কোয়াড় জানান, শনিবার সকালে উদ্ধারকারী একটি দল সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রবেশ করেছে। জল অপসারণ এবং ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ একই সঙ্গে চলছে। ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বোরিং যন্ত্র।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement