ডিমা হাসাওয়ে খাদ্য সুরক্ষার চাল বিক্রি খোলা বাজারে

রাজ্য খাদ্য দফতরের এক শ্রেণির অসাধু কর্মী-অফিসার ও ল্যাম্প সমবায়গুলির কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে অন্তোদয় যোজনা ও খাদ্য সুরক্ষার চাল তালিকাভুক্ত উপকৃতরা পাচ্ছেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাফলং শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:০১
Share:

রাজ্য খাদ্য দফতরের এক শ্রেণির অসাধু কর্মী-অফিসার ও ল্যাম্প সমবায়গুলির কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে অন্তোদয় যোজনা ও খাদ্য সুরক্ষার চাল তালিকাভুক্ত উপকৃতরা পাচ্ছেন না। ডিমা হাসাও জেলার খোলা বাজারে তা বেশি দামে বিকোচ্ছে। সম্প্রতি খাদ্য দফতরের এক ইন্সপেক্টর ও সমবায়ের এক কর্তাকে হাতেনাতে ধরেছে ডিমা হাসাও ছাত্র সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। ছাত্র সংগঠনটির চরম হুঁশিয়ারি, পরিস্থিতি এ ভাবে চলতে থাকলে জেলা জুড়ে তাঁরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন।

Advertisement

প্রশাসনিক সুত্রে জানা গিয়েছে, ফুড কর্পোরেশন ইন্ডিয়া (এফসিআই) পাহাড়ি জেলার সমবায়গুলিকে খাদ্য সুরক্ষা বাবদ প্রতি মাসে ২৭৮৯.৮৯ কুইন্ট্যাল চাল দেয়। একই ভাবে এফসিআই অন্তোদয় যোজনায় মাসে ১৫৭৮.৯০ কুইন্ট্যাল চাল সমবায়গুলিকে দেয়। সমবায় গুলির কাজ, এই চাল উপকৃত পরিবারগুলির মধ্যে বন্টন করা। কিন্তু অভিযোগ, পরিবার পিছু ২৫ কিলোগ্রাম চাল দেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১৫ কিলোগ্রামের বেশি দেওয়া হয় না। বাকি চাল খোলা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

দীর্ঘ দিন ধরেই এই ধরনের বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন জেলা খাদ্য দফতরের কর্তাদের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু ‘যথাপূর্বং তথাপরম’। পরিস্থিতি পাল্টায়নি।

Advertisement

গত ১৪ নভেম্বর খাদ্য সুরক্ষার চাল হাফলং শহরের পাশে বাগেটারে অবৈধ ভাবে বিক্রি করার সময় হাফলং খাদ্য ও অসামরিক দফতরের ইন্সপেক্টর রূপম ডিব্রাগেডে ও জায়ন ল্যাম্প সোসাইটির চেয়ারম্যান বাবু ছেত্রীকে হাতে নাতে ধরে সারা ডিমাসা ছাত্র সংস্থা। তারপরেও খাদ্য দফতরের কর্তারা নীরব বলে সংগঠনের অভিযোগ। এরই পাশাপাশি, ন্যায্য মূল্যের রেশন দোকানগুলি কেরোসিন তেলও খোলা বাজারে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ সারা ডিমাসা ছাত্র সংসগঠনের। জেলা প্রশাসন ও পার্বত্য পরিষদ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নজর দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে তারা। সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, এরপরেও যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না করে, তাহলে তারা পুরো জেলা জুড়ে আন্দোলনে নামবে।

আলফা জঙ্গি হত। যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই আলফা জঙ্গির মৃত্যু হল। মায়ানমার পেরিয়ে আলফা-খাপলাং যৌথ বাহিনীর একটি দল অসমে ঢোকার চেষ্টা করছে বলে খবর এসেছিল। সেই সূত্র ধরেই আজ অরুণাচলপ্রদেশের চাংলাং জেলায় অভিযান চালায় পুলিশ ও আসাম রাইফেলস। ধর্মপুরের কাছে আলফা জঙ্গিদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। আসাম রাইফেলস সূত্রে খবর, পরে জঙ্গল থেকে দুই আলফা জঙ্গির গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ মিলেছে। উদ্ধার হয় একটি এ কে সিরিজের রাইফেল ও একটি পিস্তল। পরে জঙ্গি ঘাঁটি থেকে এক মহিলা-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন