‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবিতে ছুটিতে গিয়েও কাজে ব্যস্ত হৃতিক রোশন। ছবি: সংগৃহীত।
ছুটি নিয়ে বেড়াতে গিয়েছেন বা অফিসের কাজ সেরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন! এমন সময়ে সেই কর্মীর কাছে অফিস থেকে এল ফোন। বা ইমেল পাঠিয়ে কোনও কাজের নির্দেশ দেওয়া হল। এই ধরনের ঘটনা আকছার ঘটে থাকে। ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবিতে এ রকমই এক পরিস্থিতিতে হৃতিক রোশনের ফোন ছুড়ে ফেলে দেন বন্ধু ফারহান আখতার। সেই পরিস্থিতি থেকে এ দেশের কর্মীদের রক্ষা করতে উদ্যোগী হলেন বিরোধী দলের এক সাংসদ। এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয় সুলে শুক্রবার লোকসভায় ‘রাইট টু ডিসকানেক্ট বিল, ২০২৫’ পেশ করলেন।
‘প্রাইভেট মেম্বার’স বিল’ হিসাবে সুপ্রিয়া ওই বিলটি পেশ করেছেন লোকসভায়। তাতে বলা হয়েছে, অফিসের কাজের সময় শেষ হলে কর্মীকে যাতে কর্মক্ষেত্রের ফোন ধরতে বা ইমেল দেখতে না হয়, সেই অধিকার নিশ্চিত করা হোক। বিলে আরও বলা হয়েছে, অফিসের কাজ শেষ হলে কর্মীদের ‘ব্যক্তিগত সময়’ শুরু হয়। ছুটির দিনেও পুরো সময়টাই কর্মীর ‘ব্যক্তিগত’। সে সময় অফিসের ফোন না ধরার বা ইমেল না দেখার অধিকার রয়েছে তাঁর। কর্মীদের সেই অধিকার নিশ্চিত করা হোক বলে বিলে দাবি করেছেন সুলে।
লোকসভা বা রাজ্যসভার সাংসদ যদি মনে করেন, কোনও বিষয়ে আইন হওয়া প্রয়োজন, বা আলোচনার দরকার, তা হলে তাঁরা সেই সংক্রান্ত বিল সংসদে পেশ করতে পারেন। অনেক সময় জনমত যাচাইয়ের জন্যও এই বিল আনা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রস্তাবিত বিল নিয়ে জবাব দিলে তা প্রত্যাহার করা হয়ে থাকে। শুক্রবার যে বিল সুপ্রিয়া পেশ করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, কর্মীদের স্বার্থেই আইন হওয়া উচিত।