অমিত শাহ
নজরে শুধুই ২০১৯-এর লোকসভা ভোট। আর কিছু নিয়ে ভাবতে রাজি নন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। যে কারণে অসমে নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগেই খসড়ায় বাদ পড়া ৪০ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করেছেন তিনি। এড়িয়ে যাচ্ছেন যাবতীয় প্রশ্ন।
অসমে এমন অনেক পরিবার রয়েছে, যেখানে স্বামী এসেছেন ১৯৭১-এর আগে। স্ত্রী বা তাঁর পরিবার এসেছে ১৯৭১-এর পরে। বিরোধীদের প্রশ্ন, এমন ক্ষেত্রে কি স্বামী থেকে যাবেন, স্ত্রীকে ফেরত পাঠানো হবে? বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করা হলেও বাংলাদেশ কি তাঁদের ফেরত নেবে? না নিলে এই মানুষগুলি কি ‘রাষ্ট্রহীন’ হয়ে থাকবেন? তাঁদের কি জেলে আটক করে রাখা হবে?
৪০ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত করলেও অমিত এই সব প্রশ্ন নিয়ে ভাবতেই রাজি নন। বলেছেন, ‘‘আগে তো তালিকা তৈরি হোক। তার পর ঠিক হবে। প্রক্রিয়া হবে। প্রকল্প তৈরি হবে। তৃতীয় বা চতুর্থ ধাপে কী হবে, তা জানা না থাকলে কি প্রথম ধাপের কাজও হবে না?’’ কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারির কথায়, ‘‘এতে গোটা উত্তর-পূর্বেই অশান্তি তৈরি হবে।’’