(উপরে) কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আরজেডি নেতা মদন শাহ। (নীচে) রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত।
বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে বিহারের রাজনীতির উত্তাপ বাড়ছে। আর সেই উত্তাপ আরও বেড়েছে রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থিতালিকা প্রকাশ্যে আসার পরে। প্রত্যাশা করেছিলেন ভোটের টিকিট পাবেন, দল তাঁকেই প্রার্থী বানাবে, কিন্তু না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন অনেক নেতা-নেত্রীই। তা সে আরজেডি হোক, জেডিইউ বা বিজেপি। সব দলেই এ রকম কোনও না কোনও নেতা প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন। তেমনই আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল ওই রাজ্য থেকে।
ভোটের টিকিট না পেয়ে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদের পটনার বাসভবনের সামনে ধর্নায় বসলেন এক নেতা। শুধু তা-ই নয়, টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে কান্নাকাটিও জুড়ে দিলেন। রাস্তায় গড়াগড়িও খেতে দেখা গেল তাঁকে। এমনকি রাগের বশে নিজের পোশাকও ছিঁড়ে ফেললেন তিনি।
আরজেডি নেতা মদন শাহ। তিনি দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা। মদনের দাবি, দলের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল মধুবন বিধানসভা আসনে প্রার্থী করা হবে তাঁকে। কিন্তু ভোট আসতেই সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে দল, এমনই অভিযোগ তুলেছেন মদন। তাই রবিবার পটনায় লালুপ্রসাদের বাসভবনের সামনে হাজির হয়ে প্রতিবাদ করতে থাকেন। কেন তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও প্রার্থী করা হল না, এ প্রশ্ন তুলে কান্নায় ভেঙে পড়েন আরজেডি নেতা। তাঁর কথায়, ‘‘দলের দীর্ঘ দিনের সৈনিক আমি। কিন্তু যাঁরা সৎ এবং কঠোর পরিশ্রমী, সেই সব কর্মীদের গুরুত্ব দিচ্ছে না দল। বরং এখন টাকার খেলায় মেতেছে তারা। যে যত টাকা দেবে, সেই হবে প্রার্থী।’’
মদনের অভিযোগ, প্রার্থী হওয়ার জন্য তাঁর কাছে টাকা চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি দেননি। আর সে কারণেই তাঁকে প্রার্থী করেনি দল। দলের রাজ্যসভার সাসংদ সঞ্জয় যাদবের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মদন। দলের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। নিজের কুর্তা ছিঁড়ে ফেলে রাস্তায় গড়াগড়ি খেতে থাকেন। মদন বলেন, ‘‘ওরা সরকার গঠন করতে পারবে না। তেজস্বীর খুব অহংকার। আমি লালু যাদবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আমাকেই টিকিট দেওয়া হবে। নব্বইয়ের দশক থেকে এই দল করছি।’’
প্রসঙ্গত, আগামী ৬ এবং ১১ নভেম্বর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। ১৪ নভেম্বর ভোটগণনা।