RJD MLA

‘হুজুর, নিষ্কৃতিমৃত্যুর অনুমতি দিন’! পটনা আদালতে হাতজোড় করে কেন এমন আর্জি জানালেন আরজেডি বিধায়ক?

আদালতকক্ষে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) বিধায়ক। বিচারকের কাছে সটান আর্জি জানিয়ে বসলেন, ‘‘হুজুর, আমাকে নিষ্কৃতিমৃত্যুর অনুমতি দিন।’’ তার পরই কেঁদে ফেললেন বিধায়ক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৫ ১৮:৩৪
Share:

আরজেডি বিধায়ক রীতলাল যাদব। —ফাইল চিত্র।

আদালতকক্ষে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) বিধায়ক। বিচারকের কাছে সটান আর্জি জানিয়ে বসলেন, ‘‘হুজুর, আমাকে নিষ্কৃতিমৃত্যুর অনুমতি দিন।’’ তার পরই কেঁদে ফেললেন বিধায়ক। তাঁর এমন আর্জি আর কান্না দেখে আদালতকক্ষে থাকা সকলেই স্তম্ভিত হয়ে যান। বিধায়কের এহেন আচরণে কক্ষের ভিতরে গুঞ্জনও চলতে থাকে।

Advertisement

বিহারের দানাপুরের আরজেডি বিধায়ক রীতলাল যাদব। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ এবং তোলাবাজির মামলা চলছে পটনা আদালতে। বর্তমানে গ্রেফতার হয়ে ভাগলপুর ক্যাম্প জেলে বন্দি তিনি। পটনার বেউর সেন্ট্রাল জেলে স্থানান্তরের জন্য আবেদনও করেছেন বিধায়ক। আদালতের কাছে বিধায়কের দাবি, ‘‘ভাগলপুরে আমার হয়ে আর্জি জানানোর কেউ নেই। আমি ক্লান্ত। আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা চাপিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’ এর পরই আদালতের কাছে তিনি বলেন, ‘‘হুজুর, আমাকে নিষ্কৃতিমৃত্যুর অনুমতি দিন।’’

বুধবার পটনা আদালতে ছিল একটি মামলার শুনানি। ভাগলপুর থেকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল বিধায়ককে। পুলিশের তরফে বেউর জেল প্রশাসনের কাছে বিধায়কের জন্য দু’দিনের জন্য কিছু সুযোগসুবিধা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু জেল প্রশাসন সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। ফলে বিধায়ককে আবার ভাগলপুরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

দানাপুরের এক ইমারতি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল রীতলালের বিরুদ্ধে। তার পরই তাঁর ১১টি ঠিকানায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। ১৭ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আরজেডি বিধায়ক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement