মহিলা সহকর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে বিশিষ্ট পরিবেশবিদ আর কে পচৌরির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা পড়েছিল আগেই। শনিবার দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক জানিয়ে দিলেন, কোর্টে যে পরিমাণ তথ্য জমা পড়েছে তার ভিত্তিতে পচৌরির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা করা সম্ভব। এই মামলার পরের শুনানি ১১ জুলাই। সে দিন যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত হিসেবেই শক্তি ও সম্পদ প্রতিষ্ঠানের (টেরি) প্রাক্তন এই কর্তাকে তলব করেছে কোর্ট।
গত বছর টেরির এক মহিলা কর্মী অভিযোগ জানান, সংস্থার ডিজি তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন। শুধু তা-ই নয়, বাদ যায়নি পিছু নেওয়া, যৌন নিগ্রহও। এর জেরে ডিরেক্টর জেনারেলের পদ খোয়াতে হয় পচৌরিকে।
এই বিতর্কের মধ্যেই এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে শুধু পচৌরির জন্য একটি বিশেষ পদ তৈরি করে টেরি। ডিরেক্টর জেনারেল থেকে পদোন্নতি দিয়ে এগজিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করা হয় এই প্রবীণ বিজ্ঞানীকে। শেষে বিস্তর সমালোচনার মুখে প়ড়ে দীর্ঘ ছুটিতে চলে যান এই পরিবেশবিদ। কিছু দিন পরে পচৌরির বিরুদ্ধে কোর্টে ১৪০০ পাতার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগকারিণীর পক্ষে ২৩ জন সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন টেরির প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মীদের অনেকেই।