পুজোয় জনসমুদ্র কাছাড়ের রাস্তা

পুজোর মুখে কাটিগড়া থানার গুমড়ায় জেহাদি ধরা পড়ায় উদ্বেগে ছিলেন কাছাড়বাসী। গ্রেফতারের বদলার আশঙ্কায় ছিলেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল দুর্গোৎসব। দু’য়েকটি ছোট ঘটনা ছাড়া অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:১০
Share:

আবার এসো মা। করিমগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে দুর্গা বিসর্জন। বুধবার শীর্ষেন্দু সী-র তোলা ছবি।

পুজোর মুখে কাটিগড়া থানার গুমড়ায় জেহাদি ধরা পড়ায় উদ্বেগে ছিলেন কাছাড়বাসী। গ্রেফতারের বদলার আশঙ্কায় ছিলেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল দুর্গোৎসব। দু’য়েকটি ছোট ঘটনা ছাড়া অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, গত কাল বেলা ১২টা থেকে প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু হয়। ভোর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত মোট ২৫১টি প্রতিমা বরাক নদীর জলে বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে পুরসভা এ বার সড়ক থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত মূর্তি বহন করার জন্য দু’টি ট্রলির ব্যবস্থা করলেও তা কাজে আসেনি। তিন-চারটি প্রতিমা বহনের পর সেগুলি সরিয়ে রাখা হয়।

জেলায় পুজোর সংখ্যা মোটামুটি একই রয়েছে। বেশ কিছু পুজোয় অন্য বারের তুলনায় জৌলুস কমেছে। আবার কিছু ২৫ ও ৫০ বছরের পুজোয় চমক বেড়েছে। তবে তাতে দর্শনার্থীদের ভিড়ের হেরফের নেই। ষষ্ঠীর রাতে মানুষের ঢল নেমেছিল শিলচর থেকে উধারবন্দের সব জায়গায়। সপ্তমী, অষ্টমীতেও মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল দীর্ঘ লাইন। তবে নবমীর রাতে ভিড় ছিল মাত্রাছাড়া। ভোর পর্যন্ত পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা বিভিন্ন বয়সের মানুষকে শহরে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

এ বারও অন্যান্যদের সঙ্গে পুজো করে জেলা প্রশাসনের অফিসার-কর্মীবৃন্দ। জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন নিজে ছিলেন সভাপতি। তিনিই সপ্তমীর সকালে পুরোহিতের সঙ্গে পুজোর সঙ্কল্প করেন। জেলা প্রশাসন কর্মচারী সংস্থার রাজ্য সম্পাদক বিক্রমজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অসমে এক মাত্র কাছাড়েই জেলা প্রশাসনের অফিসার-কর্মীরা নিজেরা দুর্গাপূজা করেন। পদাধিকার বলে জেলাশাসক সভাপতি হন। তিনিই সংকল্প করেন। কিন্তু পুজোর খরচের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের কোনও সম্পর্ক নেই। সবাই চাঁদা দিয়ে মাতৃ আরাধনার খরচ বহন করেন। ২০০৪ সাল থেকে এই মণ্ডপে কুমারী পূজা শুরু হয়েছে। এ বার অষ্টমীতে কুমারী পূজা হয়।

এ বার নতুন করে কুমারী পূজা শুরু হয়েছে দক্ষিণ বিলপার সর্বজনীন পুজো কমিটিতে। নজর কাড়ে পশ্চিম অম্বিকাপুর সর্বজনীন পুজোয় মহিলা ঢাকির দল। উধারবন্দ কালীবাড়ি রোড পূজা কমিটি ছৌ নৃত্যের আয়োজন করে। তরুণ ক্লাবের বৃদ্ধাশ্রম থিমও দর্শকদের মন জিতেছে। নীরবে চমক দিয়েছে বিলপার দুর্গাবাড়ি সর্বজনীন পূজা কমিটি। প্লাস্টিক-পলিথিনের মণ্ডপ গড়ে তুলে ধরে মানুষ ও বিভিন্ন সামগ্রীর বিবর্তন। দর্শক টেনেছে সৎসঙ্গ আশ্রম রোডের ৪০ ফুট উঁচু মহিষাসুরমর্দিনীও।

নির্বিঘ্নে পুজো শেষ হলেও, গত কাল প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায় দুই পুজো আয়োজকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ৫-৬ জন জখম হন। পুলিশ জানায়, শঙ্কর বণিক নামে এক যুবকের বাঁ চোখে মারাত্মক আঘাত লেগেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে আজ গুয়াহাটি পাঠানো হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement