ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন যাত্রীরা। ছবি: পিটিআই।
ট্রেন তখন সবে মুঘলসরাই ছেড়েছে। রাতে ট্রেনের প্রায় সমস্ত যাত্রীই ঘুমিয়ে। প্রহরায় রয়েছে রেল পুলিশ। তার মাঝেই সেই প্রহরার ফাঁক গলে ডাকাতির ঘটনা ঘটল দিল্লি-পটনা রাজধানী এক্সপ্রেসে। উত্তরপ্রদেশের মুঘলসরাই এবং বিহারের বক্সার স্টেশনের মাঝে ওই ট্রেনের তিনটি কোচে শনিবার রাতে ওই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় সন্দেহের তির উঠেছে এক কোচ অ্যাটেন্ডেন্টের দিকেও।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, এ-৪, বি-৭ এবং বি-৮ এই তিনটি কোচ মিলিয়ে যাত্রীদের থেকে লক্ষাধিক নগদ টাকা এবং গয়না লুঠ করে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় সময়ে ট্রেনে কর্মরত এক অ্যাসিস্টেন্ট সাব-ইনস্পেক্টর-সহ মোট ৬ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কোচের দরজা ওই সময়ে খোলা থাকায় ওই ট্রেনের এক কোচ অ্যাটেন্ডেন্টও এই ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত চলছে।
রবিবার সকালে ট্রেন পটনায় পৌঁছলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। পটনা পুলিশে ডাকাতির অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। ঘটনায় খবর সামনে আসার পরই রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু টুইট করে জানান, এই নিয়ে বিহার পুলিশের ডিজি-র সঙ্গে রেল পুলিশের ডিজি-র কথা হয়েছে। যাত্রী সুরক্ষায় কোনওরকম হেরফের বরদাস্ত করা হবে না। দুষ্কৃতীদের খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাওড়া শাখায় লাইনচ্যুত মালগাড়ি, চূড়ান্ত দুর্ভোগ যাত্রীদের
যাত্রী সুরক্ষা এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের উপরে বার বারই জোর দেওয়ার কথা বলে আসছে রেল। সম্প্রতি রেল বাজেটেও ট্রেনের সংখ্যা না বাড়িয়ে যাত্রী সুরক্ষার উপরেই বেশি জোর দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। কিন্তু আসলে যে কাজের কাজ কিছুই হয়নি, এই ঘটনা তা ফের প্রমাণ করে দিল।