হরিয়ানা পুলিশের (বাঁ দিকে) এডিজি ওয়াই পূরণ কুমারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ (ডান দিকে) কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর। ফাইল চিত্র।
হরিয়ানা পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি ওয়াই পূরণ কুমারের মৃত্যুতে সরকারি ‘বিভেদনীতি’কেই দায়ী করলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। আত্মঘাতী এডিজি-র স্ত্রী অমনীত কুমারকে চিঠি লিখে পাশে থাকার বার্তাও দিলেন সনিয়া। তিনি লেখেন, ‘‘আইপিএস ওয়াই পূরণ কুমারের মৃত্যুতে শোকাহত। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’’ এর পরই সনিয়া প্রশাসনিক মহলে পক্ষপাত এবং বিভেদমূলক আচরণের দিকে আঙুল তোলেন। তিনি লেখেন, ‘‘পূরণ কুমারের মৃত্যু এটাই বলে দিচ্ছে যে, উচ্চপদস্থ কর্তারাও বিভেদনীতির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।’’
হরিয়ানা পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (এডিজি) ওয়াই পূরণ কুমারের মৃত্যু ঘিরে বিতর্কের পারদ চড়তেই সরানো হল রোহতকের পুলিশ সুপার নরেন্দ্র বিজার্নিয়াকে। ঘটনাচক্রে, পূরণ কুমার তাঁর সুইসাইড নোটে যে ১৬ জন আমলা এবং আইপিএসের নাম উল্লেখ করে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রোহতকের এসপি-ও। তবে তাঁকে অন্যত্র কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কি না, তা উল্লেখ করা হয়নি। বিজার্নিয়ার জায়গায় রোহতকের পুলিশ সুপারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুরিন্দর সিংহ ভোরিয়াকে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার চণ্ডীগড়ের বাড়ি থেকে এডিজি-র গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পুলিশকর্তা নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। আট পাতার একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। সেখানে তাঁকে লাগাতার হেনস্থা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মূলত রাজ্যের ডিজি শত্রজিৎ কপূর এবং রোহতকের এসপি বিজার্নিয়ার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও আরও ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে গিয়েছেন।
ডিজি এবং এসপি-র বিরুদ্ধে গত বুধবার এফআই দায়ের করেন এডিজি-র স্ত্রী অমনীত কুমার। শুধু তা-ই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর নায়ের সিংহ সাইনির কাছে চিঠি লিখে আর্জি জানান, অভিযুক্ত দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে যেন দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। বৃহস্পতিবার আইজি-র নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি সিট গঠন করা হয়। রাজ্যের পুলিশ মহলেও এডিজি-র মৃত্যুতে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। দুই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জোরালো হচ্ছিল। তার পরই শুক্রবার রোহতকের পুলিশ সুপারকে সরানো হল।