National News

দূষণ রুখতে ৭৮৭ কোটি টাকা তুলে ১ কোটিও খরচ করেননি কেজরীবাল!

পরিবেশ দূষণের মোকাবিলা করার জন্য দিল্লিবাসীর কাছ থেকে সেস আদায় করে কেজরীবালের সরকার। এই সেস বাবদ দু’বছরে কেজরীবালের সরকার আদায় করেছে ৭৮৭ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খরচ হয়েছে মাত্র ৯৩ লক্ষ টাকার মতো।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ২০:৫২
Share:

ঘন ধোঁয়াশা দিল্লির আকাশে। কেজরীবালের সরকার এই দূষণ রুখতে সে ভাবে কোনও পদক্ষেপই করেনি বলে অভিযোগ। ছবি: এএফপি।

দূষণের মোকাবিলা করার জন্য বিপুল অর্থ রয়েছে ভাণ্ডারে। কিন্তু খরচ করেনি দিল্লির সরকার। রাজধানীর দূষণের জন্য পঞ্জাব এবং হরিয়ানার দিকে আঙুল তুলছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। কিন্তু নিজের তহবিলে পড়ে থাকা ৭৮৭ কোটি টাকাকেও যে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগানো যায়, তা সম্ভবত মাথায়ই আসেনি আম আদমি সরকারের। তথ্যের অধিকার আইনের (আরটিআই) আওতায় জমা পড়া একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে এই তথ্য সামনে এসেছে হঠাৎ। তাতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন কেজরীবালরা।

Advertisement

পরিবেশ দূষণের মোকাবিলা করার জন্য দিল্লিবাসীর কাছ থেকে সেস আদায় করে কেজরীবালের সরকার। এই সেস বাবদ দু’বছরে কেজরীবালের সরকার আদায় করেছে ৭৮৭ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খরচ হয়েছে মাত্র ৯৩ লক্ষ টাকার মতো, অর্থাৎ ১ শতাংশেরও অনেক কম।

আরও পড়ুন: নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি চলবে দু’দিন, কমতে পারে তাপমাত্রা

Advertisement

আরটিআই আবেদনের প্রেক্ষিতে এই তথ্য সামনে আসায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে কেজরীবাল সরকারকে। দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার আগে পরিবেশ দূষণ রোখা অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল আম আদমি পার্টির। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল সে লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ বলেই এখন অনেকে মনে করছেন। ২০১৬ সালে দেওয়ালির পরে দিল্লির হাওয়া যতটা দূষিত হয়েছিল, ততটা তার আগের ১০ বছরে হয়নি। এ বছর দেওয়ালির আগে দিল্লিতে বাজি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। তাতে গত বারের তুলনায় কিছুটা কমেছিল দেওয়ালি পরবর্তী দূষণমাত্রা। কিন্তু চলতি মাসে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হয়ে আসতেই ভয়াবহ ধোঁয়াশায় ঢেকে যায় গোটা দিল্লি

আরও পড়ুন: পাপ্পুকে দিয়ে বাজার করানো যাবে না, জানাল কমিশন

ধোঁয়াশার হাত থেকে মুক্তি পেতে দিল্লিতে ফের ট্র্যাফিক বিধিনিষেধ জারি করেছে কেজরী সরকার। বন্ধ রাখা হয়েছিল স্কুলও। রীতিমতো আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দেশের রাজধানীতে। কেজরীবাল কিন্তু এই পরিস্থিতির জন্য অনেকটাই দায়ী করেছিলেন পঞ্জাব ও হরিয়ানাকে। ওই দুই রাজ্যে চাষের জমিতে ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে দেওয়ার জেরে যে ধোঁয়া তৈরি হচ্ছে, সেই ধোঁয়াই দিল্লির আকাশে এসে জমছে বলে কেজরী দাবি করেন। হরিয়ানা এবং পঞ্জাবের সরকার দিল্লির সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না বলেও কেজরী অভিযোগ করেন। কিন্তু আরটিআই-এর জবাবে নিজেদের দূষণ রোধ তহবিল সম্পর্কে যে কথা জানাতে বাধ্য হয়েছে অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার, সেই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর এ কথা স্পষ্ট যে, দূষণ রুখতে কেজরীবালের সরকার তেমন কোনও পদক্ষেপই করেনি গত দু’বছরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন