সঙ্ঘের কাছে পাঠ নিচ্ছেন রাষ্ট্রদূতরা

নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিদেশনীতিতে ছায়া ফেলছে সঙ্ঘ। বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় কূটনীতিকেরা এখন আরএসএসের থেকে বিদেশনীতির পরামর্শও নিচ্ছেন।

Advertisement

জয়ন্ত ঘোষাল

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৭ ০৩:৫৫
Share:

নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিদেশনীতিতে ছায়া ফেলছে সঙ্ঘ। বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় কূটনীতিকেরা এখন আরএসএসের থেকে বিদেশনীতির পরামর্শও নিচ্ছেন।

Advertisement

মোদী ক্ষমতায় আসার পরে পর পর বহু দেশে সফর করেছেন। কিন্তু তিন বছর পর সরকার ও বিজেপির শীর্ষ স্তরের মূল্যায়ন হল, বহু ক্ষেত্রেই মোদীর নীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ, কূটনীতিকদের ব্যর্থতা এবং বিদেশনীতি সম্পর্কে সঙ্ঘ পরিবারের ভাবনার সঙ্গে তাঁদের যোগ না-থাকা। এই পরিস্থিতিতে তাই কূটনীতিকদের সঙ্গে সঙ্ঘের ভাবনার সমন্বয়ের চেষ্টা চলছে। আর এই কাজে ভূমিকা নিচ্ছেন বিজেপির বিদেশ সেলের কর্তারা।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বিভিন্ন দেশে কর্মরত ভারতীয় রাষ্টদূতদের সঙ্গে আজ দিল্লিতে বৈঠক করেছেন। গোটা দুনিয়ায় ‘মোদী ডকট্রিন’ কী ভাবে প্রয়োগ করা হবে, দু’দিনের বৈঠকে মূলত তা নিয়েই আলোচনা। কিন্তু আলোচনা শুরুর আগে গত কালই বেশ কয়েক জন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দেখা করেছেন বিজেপির বিদেশ সেল-এর প্রধান বিজয় চৌথাওয়ালা ও সঙ্ঘের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে।

Advertisement

বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আমেরিকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নভতেজ সরনা থেকে শুরু করে ইজরায়েলে ভারতের রাষ্ট্রদূত পবন কুমারের সঙ্গে আরএসএস নেতারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনার যশ সিন্‌হাও চৌথাওয়ালার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ইজরায়েল যাওয়ার কথা ৫-৬ জুন। জনসঙ্ঘের আমল থেকে আরএসএস ইজরায়েলপন্থী ও প্যালেস্তাইন আন্দোলনের বিরোধী। এ নিয়ে বাম ও দক্ষিণপন্থীদের মধ্যে রয়েছে পুরনো বিবাদ। মোদী ক্ষমতায় আসার পরে এই বিষয়টি নিয়ে

সঙ্ঘের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বহু বার আলোচনা করেছেন।

আরও পড়ুন: সোপিয়ানে আক্রান্ত সেনা, সংঘর্ষে নিহত গাড়িচালক

মোদী ক্ষমতায় এসেই কিন্তু ইজরায়েল যাননি। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও সুষমা স্বরাজের মতো মন্ত্রীরা ইজরায়েলে যান। সে সময়ে রাষ্ট্রপতি প্যালেস্তাইনেও গিয়েছিলেন। এর পর প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট আসছেন দিল্লিতে। এ সব কিছুর পরে মোদী যাচ্ছেন ইজরায়েল। এই নীল নকশা তৈরিতে আরএসএস ও বিজেপির বিদেশ সেলের ভূমিকা অনেকটাই। মোদীর বিদেশনীতিকে তুলে ধরতে এই সেলটি আগামী দু’বছর বিভিন্ন দেশে সম্মেলন করতে চলেছে।

বিজেপির শীর্ষ নেতাদের দাবি, মোদী জমানায় বিদেশনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে যতটা তৎপর হয়েছে সঙ্ঘ, অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে ততটা হয়নি। আর সঙ্ঘের কাছের ব্যক্তিরাও এখন সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন। যেমন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল আরএসএসের ভাবাদর্শে পরিচালিত বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন-র দায়িত্বে ছিলেন। ডোভালের পরে এই সংস্থায় দায়িত্বে রয়েছেন তাঁর ছেলে শৌর্য্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন