খুনের ‘অভিনয়ে’ অভিযুক্ত সঙ্ঘ কর্মী

আরএসএসের এক কর্মীর ‘ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ’ উদ্ধার নিয়ে গত সপ্তাহে ক্ষোভ ছড়িয়েছিল মধ্যপ্রদেশের রতলামে। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষায় বোঝা গেল, দেহটি আদৌ ওই আরএসএস কর্মীর নয়।

Advertisement

 সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:২৯
Share:

আরএসএসের এক কর্মীর ‘ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ’ উদ্ধার নিয়ে গত সপ্তাহে ক্ষোভ ছড়িয়েছিল মধ্যপ্রদেশের রতলামে। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষায় বোঝা গেল, দেহটি আদৌ ওই আরএসএস কর্মীর নয়। বরং সে দিব্যি বেঁচে রয়েছে। বরং ওই খুনের ঘটনায় সে-ই মূল অভিযুক্ত বলে মনে করছে পুলিশ। ঘটনাটি নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে।

Advertisement

২৩ জানুয়ারি রতলামে কামেড় গ্রামের বাসিন্দা আরএসএস কর্মী হিম্মত পাতিদারের বাবা পুলিশকে জানান, তাঁর ছেলের ‘মৃত্যু’ হয়েছে। পাতিদার পরিবারের চাষের জমি থেকে একটি ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহের মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই পরিচয় জানার উপায় ছিল না। আরএসএস কর্মীর মৃত্যু ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, মদন মালব্য নামে পাতিদার পরিবারের এক কর্মী ২৩ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ। দেহটি যেখানে পড়েছিল সেখান থেকে ৫০০ মিটার দূরে কাদামাখা জামাকাপড় ও জুতো পাওয়া যায়। মদনের পরিবার ওই জামাকাপড়-জুতো শনাক্ত করে। হিম্মতের বাইকের থাকা জুতোর ছাপের সঙ্গে মদনের জুতোর মাপ মিলে যাওয়ায় সন্দেহ দেখা দেয়। পরে ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায়, দেহটি আসলে মদনের।

পুলিশের অভিযোগ, হিম্মত প্রচুর ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়েছিল। তাই মদনকে খুন করে তার দেহ নিজের বলে প্রমাণ করে জীবনবিমার ২০ লক্ষ টাকা পেতে চাইছিল সে। হিম্মত এখনও নিখোঁজ। আরএসএস কর্মীর মৃত্যু নিয়ে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে বিঁধেছিল বিজেপি। আজ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বালা বচ্চন বলেন, ‘‘রতলামে আরএসএস কর্মীই খুনি। বিজেপি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement