লোকসভা ভোটের আগে ফের ‘রামরাজ্য’ নিয়ে রথযাত্রা শুরু হচ্ছে কাল। ছবি: পিটিআই।
প্রায় তিন দশক আগে লালকৃষ্ণ আডবাণীর ‘রাম রথ যাত্রা’ মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল বিজেপির। সোমনাথে শুরু করে অযোধ্যা পৌঁছতে চেয়েছিলেন তিনি। লোকসভা ভোটের আগে ফের ‘রামরাজ্য’ নিয়ে রথযাত্রা শুরু হচ্ছে কাল। বিজেপির কোনও বড় নেতা থাকছেন না। তবে পুরো দস্তুর মদত থাকছে সঙ্ঘের। নরেন্দ্র মোদীর জমানায় চল্লিশ দিনের এই ‘রামরাজ্য রথযাত্রা’ শুরুই হচ্ছে অযোধ্যা থেকে। উত্তরপ্রদেশে, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কেরল, ভোটমুখী কর্নাটক হয়ে যাত্রা শেষ হবে তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে। বিজেপির হিন্দুত্বের মুখ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যাত্রার সূচনা করবেন। মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সব রাজ্যকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে, এই যাত্রা যেন নির্বিঘ্ন হয়।
বিজেপির নেতারা বলতে শুরু করেছেন, বছরের শেষ নাগাদ সুপ্রিম কোর্টে রামমন্দিরের রায় এসে গেলেই লোকসভা ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে। তখন সেটিই হবে বিজেপির অন্যতম রাজনৈতিক তাস। সংখ্যালঘুদের একাংশও সঙ্ঘ-বিজেপির অবস্থানকে স্বাগত জানাচ্ছে। তার আগে, তুলনায় অপরিচিত মহারাষ্ট্রের ‘শ্রী রামদাস মিশন ইউনিভার্সাল সোসাইটি’র মাধ্যমে এই যাত্রার আয়োজন করে জল মাপার কাজ শুরু হচ্ছে। যাত্রার লক্ষ্যই রামমন্দির নির্মাণ, রামরাজ্যের ‘পুনঃপ্রতিষ্ঠা’।
আরও পড়ুন: মন্দির-মসজিদ, এক পথে মোদী-রাহুল
যাত্রা শুরু হবে অযোধ্যার করসেবকপুরম থেকে। বিতর্কিত স্থলের অদূরেই যেখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাজস্থান থেকে পাথর এনে প্রস্তাবিত মন্দিরের কাঠামো তৈরি করছে। গোটা যাত্রার হাওয়া তুলতে কোমর বেঁধেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। চল্লিশ দিনের যাত্রায় চল্লিশটি সভাও হবে। সেখানে গেরুয়া শিবিরের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে অযোধ্যাকে ঢেলে সাজতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছেন যোগী। সেখানে সরযূ নদীর তীরে ১০০ মিটার লম্বা রামের মূর্তিও তৈরি করতে চাইছেন।
পুরাণের ত্রেতা যুগে অযোধ্যা থেকে সীতা রথে চড়েছিলেন। জানতেন না রাম তাঁকে ত্যাগ করেছেন। সেই অযোধ্যা। সেই রথ। এখন অবশ্য ঘোর কলি!