প্রদ্যুম্ন ঠাকুর। ফাইল চিত্র।
ঘটনার পর ন’দিন কেটে গিয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া রায়ান ইন্টারন্যাশনাল খুলেছে। কিন্তু, সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের উপর ভরসা করতে পারছেন না অভিভাবকেরা। স্কুল খুলেছে বটে, কিন্তু প্রদ্যুম্নর মাত্র চার জন সহপাঠী সোমবার ক্লাসে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে দু’জন স্কুল গিয়েছিল ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিতে গিয়েছেল।
গত ৯ সেপ্টেম্বর রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় শৌচালয়ে। এ খবর জানাজানি হওয়ার পরই অভিভাবকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। বিক্ষোভের জেরে সাসপেন্ড হন স্কুলের অধ্যক্ষ। বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। টানা ন’দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার নতুন করে স্কুল খুললেও আতঙ্কের পরিস্থিতি বিশেষ পাল্টায়নি।
আরও পড়ুন: হরিয়ানার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকার শীর্ষে হানিপ্রীত
সে দিনও নিজের সন্তানকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদেরই এক জন বলেন, ‘‘আমি জানি, আর হয়তো ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু, আমার সন্তান ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বছরের মাঝখানে অন্য কোনও স্কুলে ভর্তি করানো সহজ হবে না জানি, তা-ও এই স্কুল থেকে ওর নাম কাটাতে এসেছি।’’ প্রদ্যুম্নর এক সহপাঠীর বাবা জানিয়েছেন, ওই ক্লাস এবং ওই শৌচালয় ব্যবহার করতে ভয় পাচ্ছে তাঁর সন্তান।