শবরীমালা নিয়ে শুনানিতে রাজি শীর্ষ আদালত

শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাকে ঢুকতে দেওয়ার রায় স্থগিত রাখতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। তবে ২২ জানুয়ারি থেকে প্রকাশ্য আদালতে এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি শুনতে রাজি হয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৪
Share:

শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাকে ঢুকতে দেওয়ার রায় স্থগিত রাখতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। তবে ২২ জানুয়ারি থেকে প্রকাশ্য আদালতে এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি শুনতে রাজি হয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

২৮ সেপ্টেম্বর শবরীমালায় সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকারের পক্ষে রায় দেয় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। কিন্তু শবরীমালায় যাওয়ার সময়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে মহিলা পুণ্যার্থীদের। বিজেপি, আরএসএস-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের মতে, এই রায়ে শবরীমালা মন্দিরের ভক্তদের ভাবাবেগ ও স্থানীয় প্রথাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আজ এক সাক্ষাৎকারে শবরীমালা রায় প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায় অনেক ক্ষেত্রে রূপায়ণ করা কঠিন।’’ কিন্তু বিজেপি তো তিন তালাক রায়ের ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য দূর হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছিল। তাহলে শবরীমালার রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে না কেন? অমিতের বক্তব্য, ‘‘দেশের ১৭টি মন্দিরে পুরুষের প্রবেশাধিকার নেই। গুরুদ্বারে গেলে পাগড়ি বেঁধে যেতে হয়। এটা মানুষের আস্থার প্রশ্ন।’’

শবরীমালা রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ৪৮টি আর্জি পেশ হয়েছে। সেইসঙ্গে নতুন আর্জিও পেশ করেছেন কয়েক জন আবেদনকারী। ৯ অক্টোবর এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জির দ্রুত শুনানিতে রাজি হয়নি প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সদস্যেরা বিচারপতিদের চেম্বারে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জিগুলি খতিয়ে দেখেন। তার পরে বেঞ্চ এক নির্দেশে জানায়, ‘‘২২ জানুয়ারি থেকে পুনর্বিবেচনার আর্জি ও এই বিষয় সংক্রান্ত অন্য সব আবেদনের শুনানি হবে প্রকাশ্য আদালতে। ২৮ সেপ্টেম্বরের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না।’’

Advertisement

অন্য দিকে শবরীমালা মন্দিরে যাওয়ার সময়ে পুণ্যার্থীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও তার জেরে হিংসা নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছেন বিশেষ কমিশনার এম মনোজ। তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতে আজ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শুরু করেছে কেরালা হাইকোর্ট। বিশেষ কমিশনার তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে ৫ নভেম্বর শবরীমালা মন্দিরে ৫০ বছরের কম বয়সি মহিলাদের যাওয়া রুখতে জড়ো হয়েছিল অনেক বিক্ষোভকারী। এক মহিলাকে হেনস্থার শিকার হতে হয়। পুলিশের সাহায্যে তিনি মন্দিরে পৌঁছন। গোলমালের জেরে অনেকে প্রথা মেনে মাথায় পুজোর সামগ্রী নিয়ে মন্দিরে যেতে পারেননি। ১৭ নভেম্বরও ফের গোলমাল হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষ কমিশনার। এ দিনই কেরালা হাইকোর্টে অন্য একটি মামলায় রাজ্য জানিয়েছে, তারা কোনওভাবেই শবরীমালার পরিচালক দেবোস্বম বোর্ডের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করছে না। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাজ্যের দায়িত্ব। পাশাপাশি শবরীমালায় নানা প্রকল্পের জন্য দেবোস্বম বোর্ডকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা দেখাও সরকারের কর্তব্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন