‘গ্রিন ক্র্যাকার’ হয়! অবাক ব্যবসায়ীরা

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাজি ব্যবসায়ীরা। প্রশ্ন উঠছে ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ বা পরিবেশবান্ধব বাজির বাস্তবতা নিয়েও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৪৪
Share:

—প্রতীকী ছবি

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাজি ব্যবসায়ীরা। প্রশ্ন উঠছে ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ বা পরিবেশবান্ধব বাজির বাস্তবতা নিয়েও। শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে, দিওয়ালি ও অন্য উৎসবে রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে। বাজি নিয়ন্ত্রণে আরও কিছু নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। এর জেরে বাজি বিক্রি কমতে পারে বলে উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স-এর সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল বলেন, ‘‘দেশে বছরে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার বাজি বিক্রি হয়। এর মধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার বাজি আসে চিন থেকে। আদালতের রায় বিক্রির উপরে প্রভাব ফেলবে। তবে কত ক্ষতি হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ, বাজি ব্যবসায় অসংগঠিত ক্ষেত্রের বহু মানুষ জড়িয়ে রয়েছেন।’’ বাজি-রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন প্রস্তুতকারীরা। পরিবেশবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রায়কে স্বাগত জানালেও ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রস্তুতকারীরা।

তামিলনাড়ুর বাজি প্রস্তুতকারকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কে মারিয়াপ্পানের দাবি, আদালত শুধু ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ পোড়ানোর নির্দেশ দিলেও বাস্তবে তা সম্ভব নয়। কারণ, ‘এর কোনও অস্তিত্বই নেই’। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আদালতকে জানাতে হবে, পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরি সম্ভব নয়। কিছু রাসায়নিক কমানো যেতে পারে। তাতেও সময় লাগবে।’’ তিনি জানান, শিবকাশীতে বাজি কারখানাগুলিতে আট লক্ষ লোক কাজ করেন। আর এ বছরের বাজি তৈরির কাজও শেষ।

Advertisement

বাজি-রায় কী ভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পুলিশও। দিল্লি পুলিশের এক কর্তার মতে, শব্দবাজিতে দূষণের মাত্রা মাপার যন্ত্র নেই। দোকানদাররা নির্দেশ মানছেন কি না, তা-ও খুঁজে বের করা কঠিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন