থানায় পুলিশ অফিসারকে সপাটে চড় মারলেন সপা নেতার ভাইপো।
থানায় পুলিশ অফিসারকে সপাটে চড় মারলেন। জামার কলার ধরে ধাক্কা মারলেন অধস্তন এক পুলিশকর্মীকে। উত্তরপ্রদেশের বিধান পরিষদের সদস্য, সমাজবাদী পার্টির নেতা রমেশ যাদবের ভাইপো মোহিত। কেন তাঁকে ডেকে আনা হয়েছে থানায়, সেই রাগে।
থানায় ঢোকার পর একেবারে পুলিশ অফিসারের ঘরে ঢুকে সমাজবাদী পার্টি নেতার ভাইপো হিন্দিতে বলতে থাকেন, ‘‘জানেন, আমার নাম মোহিত যাদব? আমি কে, জানেন? সমাজবাদী পার্টির নেতা রমেশ যাদবের ভাইপো। আপনার সাহস তো কম নয়!’’ বলেই ঠাস ঠাস করে চড় মারেন তিনি পুলিশ অফিসারটিকে। সঙ্গে ফুলঝুরির মতো তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে অশ্রাব্য গালিগালাজ। করতে থাকেন কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও। ‘দেখে নেব’ বলে হুমকিও দিতে থাকেন তিনি। গোটা ঘটনাটাই থানার সিসিটিভি ফুটেজে রয়েছে।
মোহিতের কাকা রমেশ যাদব সমাজবাদী পার্টির নেতা। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের এটা থেকে তিনি রাজ্যের বিধান পরিষদের সদস্য।
২৪ বছর বয়সী মোহিতের ধারণা ছিল, শুধু এই পরিচয়ের জন্যই তাঁর আলাদা খাতির হবে থানায়! কিন্তু পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র কুমার তাঁকে প্রশ্ন করছেন দেখেই চট করে মাথাটা গরম হয়ে যায় মোহিতের! তখন পিছন থেকে এসে এক পুলিশকর্মী মোহিতকে থামাতে গেলে, সপা নেতার ভাইপো সেই পুলিশকর্মীর জামার কলার ধরে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেন। তাঁকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন মোহিত!
সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা, মারধরের অভিযোগে পরে অবশ্য গ্রেফতার করা হয় মোহিতকে।
পুলিশ জানাচ্ছে, মদ্যপ অবস্থায় থানায় এসেছিলেন মোহিত। রোজগারপাতি কিছুই করেন না। বাবার বন্দুকের দোকান রয়েছে। আজ সকালে মোহিত এটার একটি হাসপাতালে যান তাঁর আত্মীয়কে নিয়ে। তাঁর আত্মীয়ের এক্স-রে করানোর প্রয়োজন ছিল। হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু মোহিত তাঁদের বলেন, তিনি ভিআইপি’র ভাইপো। তিনি অপেক্ষা করতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, চোটপাটের পর তিনি এক ডাক্তার আর এক জন ল্যাব টেকনিশিয়ানকেও মারধর করেন।
আরও পড়ুন- দু’বছর মহাকাশে কাটিয়ে কার ওপর গোয়েন্দাগিরি করল এই মার্কিন ড্রোন
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই ফোনটা করেন থানায়। পুলিশ গিয়ে মোহিতকে ধরে নিয়ে যায় থানায়।
গত মাসে প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন এক বিজেপি বিধায়ক মহেন্দ্র যাদব। তিনি পিটিয়েছিলেন টোল-বুথের এক কর্মীকে। এফআইআর করে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।