বৈঠকের আগেই বিজেপিকে তোপ শিবসেনার।
এমন ভাবে যে স্বাগত জানাবে শিবসেনা, সেটা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। শিবসেনার মান ভাঙানোর জন্য বুধবারেই তিনি বৈঠকে বসবেন উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। ঠিক তার আগে শরিকি সমস্যার জন্য নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকেই দায়ী করল শিবসেনা মুখপাত্র ‘সামনা’।
কড়া ভাযায় ‘সামনা’য় বলা হয়েছে, ‘উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর কেন শরিকদের সঙ্গে কথা বলছেন অমিত শাহ?’ এরই পাশাপাশি সামনা-র সাফ কথা: ‘২০১৯ সালের নির্বাচনে শিবসেনা আলাদা করেই লড়বে।’রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বৈঠকের আগেই কড়া মনোভাবের কথা জানিয়ে অমিত শাহকে চাপের মুখে ফেলে দিল শিবসেনা।
এমনিতেই সদ্যসমাপ্ত ১৫টি লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। তাদের দখলে এসেছে মাত্র দু’টি আসন। বিপর্যয়ের মুহূর্তে বিজেপির পাশে দাঁড়ানোর বদলে রামবিলাস পাসোয়ান, নীতীশ কুমারের মতো নেতারা উল্টে সুরে কথা বলতে শুরু করেছেন। ক্ষোভের সুর শোনা যাচ্ছে অকালি দলের গলাতেও। কেন্দ্রের জোটসঙ্গী হয়েও মহারাষ্ট্রের পালঘর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল শিবসেনা। ভোটের প্রচারে শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে বলেছিলেন, ‘‘বিজেপিকে বালসাহেব ঠাকরে অনেক সহ্য করেছিলেন। কিন্ত এখন আমরা আর সহ্য করব না।’’
আরও পড়ুন: চিড় মেরামতে আজ বৈঠকে অমিত-উদ্ধব
আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা যোগীর, মুখ্যমন্ত্রীকেই দুষে উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রকল্প গোটাচ্ছে পতঞ্জলি
কিন্তু শরিকদের অসন্তোষ কেন বাড়ছে? সামনা-র দাবি, ‘শরিকি সমস্যা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন মোদী এবং অমিত শাহ।’ অভিযোগের সুরে সামনায় বলা হয়েছে, ‘বিজেপি ব্যবসায়িক হিসেবে নিয়ে চলছে, তাই তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগসূত্র ক্রমেই আলগা হয়ে আসছে।’ শিবসেনার এমন সব অভিযোগ মাথায় নিয়েই আজ উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অমিত শাহ। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনেবিজেপির দাবি মতো আসন ছাড়তে রাজি আছে শিবসেনা। বিনিময়ে তারা চায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। জটিল এই পাওনা-গণ্ডার হিসেব কী করে সামলান অমিত শাহ, সেটাই এখন দেখার।