National News

আম্মার জায়গায় চিন্নাম্মাই, দলীয় আইন ভেঙে দিয়ে সিদ্ধান্ত এআইএডিএমকের

‘আম্মা’র জায়গায় আসছেন ‘চিন্নাম্মা’। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল তামিলনাড়ুর শাসক দল এআইএডিএমকে। বৃহস্পতিবার চেন্নাইতে দলের সাধারণ পরিষদের বৈঠক হয়েছে। দলীয় আইন ভেঙে দিয়ে সেই বৈঠকে এআইএডিএমকে নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক শশিকলা নটরাজন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:৩৯
Share:

সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর বাড়িতে জয়ললিতার ছবিতে শ্রদ্ধা শশিকলার। ছবি: পিটিআই।

‘আম্মা’র জায়গায় আসছেন ‘চিন্নাম্মা’। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল তামিলনাড়ুর শাসক দল এআইএডিএমকে। বৃহস্পতিবার চেন্নাইতে দলের সাধারণ পরিষদের বৈঠক হয়েছে। দলীয় আইন ভেঙে দিয়ে সেই বৈঠকে এআইএডিএমকে নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক শশিকলা নটরাজন। তিনি সাধারণ সম্পাদক পদ গ্রহণে রাজি হয়েছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভম নিজেই জানিয়েছেন।

Advertisement

জয়ললিতার মৃত্যুর পর থেকেই দল ও সরকারের শীর্ষ পদ নিয়ে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে পৌঁছেছিল। ৫ ডিসেম্বর রাতে মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুসংবাদ ঘোষিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে নেন ও পনীরসেলভম। কিন্তু দলের শীর্ষ পদে শেষ পর্যন্ত কে বসবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত অত দ্রুত নেওয়া সম্ভব হয়নি। পনীরসেলভম-সহ দলের বড় অংশই যে প্রয়াত ‘আম্মা’র দীর্ঘ দিনের বান্ধবী শশিকলা নটরাজনকে এআইএডিএমকে সাধারণ সম্পাদক পদে বসানোর পক্ষে ছিলেন, তা বোঝাই যাচ্ছিল। কিন্তু বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে শশিকলার নাম জড়িয়ে থাকায় তাঁর বিরোধীর সংখ্যাও নেহাৎ কম ছিল না। এই পরিস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার পরবর্তী নেতা নির্বাচনের বৈঠকে বসেন এআইএডিএমকে-র শীর্ষ নেতারা। সেখানেই শশিকলাকে পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।

এআইএডিএমকে সদস্য না হওয়ায়, শশিকলা নটরাজন বৈঠকে ছিলেন না। তিনি জয়ললিতার পোয়েস গার্ডেনের বাড়িতেই ছিলেন। বৈঠক শেষ করেই ও পনীরসেলভম ও অন্য এআইএডিএমকে নেতারা সোজা পোয়েস গার্ডেন পৌঁছন। শশিকলাকে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরে বাইরে এসে পনীরসেলভম সংবাদমাধ্যমকে জানান, শশিকলা সাধারণ সম্পাদক পদ গ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন।

Advertisement

পোয়েস গার্ডেনের বাড়িতে শশিকলার হাতে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতিলিপি তুলে দিচ্ছেন পনীরসেলভম। ছবি: পিটিআই।

এআইএডিএমকে-র নিজস্ব আইন অনুযায়ী দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে অন্তত পাঁচ বছর কাজ না করলে কেউ দলের সাধারণ সম্পাদক পদে বসতে পারেন না। সেই আইন মানা হলে দলের শীর্ষ পদে শশিকলা নটরাজন বসতে পারতেন না। কিন্তু আইন ভেঙেই সাধারণ পরিষদ এ দিন দলের শীর্ষ পদে শশিকলার নাম চূড়ান্ত করে। জয়ললিতা নিজে কখনও শশিকলাকে দলের বা সরকারের কাজে প্রত্যক্ষ ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেননি। তবে শশিকলা নটরাজন যে দল ও সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিলেন, সে নিয়ে সংশয় নেই।

চেন্নাইতে এআইএডিএমকে সদর দফতরের বাইরে এ দিন জয়ললিতার ছবি সম্বলিত হোর্ডিং সরে গিয়ে নতুন হোর্ডিং লেগেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, শশিকলাকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন জয়া। শুধু শশিকলার ছবি সম্বলিত হোর্ডিঙেই শেষ নয়, শশিকলার নামে এআইএডিএমকে দফতরের বাইরে এ দিন জয়ধ্বনিও শোনা গিয়েছে। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভমের মন্তব্য, ‘‘আমরা যে ভাবে জয়ললিতার মধ্যে এমজিআর-কে দেখেছিলাম, সে ভাবেই শশিকলার মধ্যে আমরা জয়ললিতাকে দেখছি।’’

আরও পড়ুন:‘রহস্যময় মৃত্যু জয়ার’, দেহ তুলে আনা হতে পারে, ইঙ্গিত আদালতের

২ জানুয়ারি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন শশিকলা নটরাজন। ফলে এআইএডিএমকে-র ইতিহাসে পনীরসেলভমই হবেন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি দলের সাধারণ সম্পাদক নন। জয়ললিতা দল ও সরকারের শীর্ষ পদ নিজের হাতে রাখতেন। শশিকলা দলের মাথায় বসার পর পনীরসেলভম মুখ্যমন্ত্রিত্বে থেকে যাবেন, নাকি সে পদেও কোনও রদবদল হবে, জল্পনা এ বার শুরু হয়ে গিয়েছে তা নিয়েও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন