—ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের কিরানা পাহাড় (কিরানা হিল্স)। সেখানেই পরমাণু অস্ত্রের ঘাঁটি তৈরি করেছে ইসলামাবাদ। নতুন একটি উপগ্রহচিত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় ওই কিরানা পাহাড়ে হামলা চালিয়েছিল ভারত। ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়েছিল একেবারে পাহাড়ের উপর। তাতে পরমাণুঘাঁটির বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল। আপাতত সে সব মেরামত করে নেওয়া হয়েছে। সমাজমাধ্যমে এই দাবি করেছেন বিদেশি উপগ্রহচিত্র বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন। তবে ভারত বা পাকিস্তানের তরফে এই দাবি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
ড্যামিয়েন কিরানা পাহাড়ের উপগ্রহচিত্র দেখিয়ে লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তানের সারগোধা অঞ্চলের যে উপগ্রহচিত্র গুগল আর্থে ধরা পড়েছে ২০২৫ সালের জুন মাসে, তা থেকে দু’টি বিষয় বোঝা যাচ্ছে। প্রথমত, মে মাসে ভারতের হামলার পর কিরানা পাহাড়ে প্রভাবিত এলাকা এবং দ্বিতীয়ত, ভারতের হামলার পর সারগোধা বিমানঘাঁটিতে মেরামত করা রানওয়ে।’’
কৌশলগত অবস্থানের কারণে কিরানা পাহাড় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্ব পায়। এখানে পরমাণুঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে। মনে করা হয়, পরমাণুঘাঁটি মাটির নীচে রয়েছে। সেখানে পরমাণু অস্ত্র সংরক্ষণ করা রয়েছে। এ ছাড়া, এই অঞ্চলে পরমাণু গবেষণা এবং পরীক্ষানিরীক্ষাও চলে। সামরিক প্রয়োজনে এই এলাকায় অনেক র্যাডার স্টেশন এবং সুড়ঙ্গ তৈরি করেছে পাকিস্তান।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এ বেছে বেছে পাকিস্তানের ন’টি জায়গায় হামলা চালিয়েছিল ভারত। কিন্তু কিরানা পাহাড়ে হামলার কথা স্বীকার করা হয়নি। ১২ মে ভারতীয় সেনার ডিরেক্টর জেনারেল অফ এয়ার অপারেশন্স এয়ার মার্শাল একে ভারতী বলেছিলেন, ‘‘কিরানা হিল্সে পরমাণুঘাঁটি রয়েছে, এটা আমরা জানতামই না। জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আমরা কিনারা হিল্সে কোনও হামলা চালাইনি।’’ সমাজমাধ্যমে ড্যামিয়েন আরও দাবি করেছেন, ভারতের হামলায় কিরানা হিল্সে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে এটি ভারতের তরফে সতর্কবার্তা বহনকারী হামলা হতে পারে।
গত ২২ মে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছিল ভারত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপও করা হয়েছে তার পর। গত ৬ মে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করা হয়, যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারত জানিয়েছে, পাক জঙ্গিঘাঁটিগুলি চিহ্নিত করে হামলা চালানো হয়েছে। কোনও সাধারণ মানুষকে মারা হয়নি। যদিও পাকিস্তানের দাবি, ভারতের হামলায় অনেক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এর পর টানা চার দিন ধরে দুই দেশের সংঘর্ষ চলে। ১০ মে ভারত এবং পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। তবে এখনও দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে। তার মাঝেই সিঁদুর অভিযান নিয়ে নতুন দাবিতে শুরু হল জল্পনা।