—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ড়িতে পুজো। আর সেখানে নাবালক পুত্রকে আসতে দিচ্ছেন না স্ত্রী। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেন এক ব্যক্তি। তবে উল্টে বিচ্ছিন্না স্ত্রীর জিনিসপত্র ফেরত না-দেওয়ার অভিযোগে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন মামলাকারী। শুধু তা-ই নয়, অবিলম্বে সব জিনিসপত্র স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে মামলাকারী আবেদন করেন, দীপাবলিতে তাঁদের বাড়িতে পুজো। সেই পুজোয় পুত্রকে আসতে দিচ্ছেন না তাঁর মা। যদিও মামলাকারীর এই বক্তব্য মানতে নারাজ মামলাকারীর বিচ্ছিন্না স্ত্রী। উল্টে মামলাকারীর বিরুদ্ধেই তাঁর জিনিসপত্র আটকে রাখার অভিযোগ করেন।
শীর্ষ আদালত এ ব্যাপারে জানায়, ওই নাবালকের মা-বাবা তাঁদের পুত্রকে কাছাকাছি কোনও মন্দিরে নিয়ে যেতে পারেন। চাইলে সেখানে ওই নাবালকের ঠাকুমা-ঠাকুরদাও থাকতে পারবেন। পাশাপাশি, জিনিসপত্র ফেরত না-দেওয়ায় মামলাকারীকে তিরষ্কার করেন বিচারপতিরা।
আদালতের বক্তব্য, ‘‘বিবাহিত জীবন সুখকর না-ই হতে পারে। বিচ্ছেদও হতে পারে। তা বলে স্বামী, তাঁর স্ত্রীর জিনিসপত্র আটকে রেখে দেবেন, তা কখনই কাম্য নয়। তাঁরা এক সঙ্গে থাকছেন না, সেটা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কিন্তু স্ত্রীর জিনিসপত্র ফিরিয়ে দিতে হবে।’’ উল্লেখ্য, ২০২২ সাল থেকে স্ত্রীর জিনিসপত্র আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে মামলাকারীর বিরুদ্ধে।
২০১৬ সালে বিবাহ সম্পর্ক আবদ্ধ হন ওই দম্পতি। তবে বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে নানা কারণে দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালে নাবালক পুত্রকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন মামলাকারীর স্ত্রী। অন্যত্র থাকতে শুরু করেন তিনি।