National News

নমাজের জন্য মসজিদ অত্যাবশ্যক নয়, সুপ্রিম কোর্টে বহাল আগের রায়

শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারতের সংস্কৃতি মহান। দেশে সব ধর্মই সমান। কোনও ধর্মকেই আলাদা গুরুত্ব দেওয়া যায় না। প্রতিটি ধর্মেই উপাসনাস্থল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সরকারি কাজে যদি কোনও উপাসনাস্থলের জমি অধিগ্রহণ করতে হয়, তা কখনও বাধা হতে পারে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:০৫
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নমাজ মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, যে কোনও ধর্মেই উপাসনাস্থল গুরুত্বপূর্ণ হলেও সরকারি কাজের জন্য অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলে তা করা যাবে। এই রায় অযোধ্যার মূল মামলায় প্রভাব পড়বে না বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে ২৯ অক্টোবর নির্ধারিত দিনেই শুরু হচ্ছে অযোধ্যার মূল মামলার শুনানি।

Advertisement

১৯৯৪ সালের রায় পুনর্বিবেচনা এবং বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর দাবিতে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে। এ দিনের রায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায়ে জানানো হয়, ১৯৯৪ সালের ওই রায় বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর প্রয়োজন নেই।

তবে প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি অশোক ভূষণের সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করেন বিচারপতি আব্দুল নাজির। তাঁর বক্তব্য, মসজিদ ইসলামের অপরিহার্য অঙ্গ কি না, সেটা ধর্মবিশ্বাসের ভিত্তিতেই ঠিক করা উচত। সেই কারণেই এই মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর প্রয়োজন রয়েছে।

Advertisement

আরও পডু়ন: পরকীয়া অপরাধ নয়, ৪৯৭ ধারা অসাংবিধানিক, রায় সুপ্রিম কোর্টের

১৯৯৪ সালের রায়ে বলা হয়েছিল, নমাজের জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয়। যে কোনও জায়গাতেই নমাজ পাঠ করা যেতে পারে। সরকারি কাজে প্রয়োজনে উপাসনাস্থলের জমি অধিগ্রহণে কোনও বাধা নেই। সেই রায় বহাল রেখে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘ভারতের সংস্কৃতি মহান। দেশে সব ধর্মই সমান। কোনও ধর্মকে আলাদা বা বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া যায় না। প্রতিটি ধর্মেই উপাসনাস্থল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও সরকারি কাজের জন্য তা অধিগ্রহণে আপত্তি থাকা উচিত নয়। ’’

আরও পড়ুন: পিষে দিল গাড়ি, উঠেই খেলতে শুরু করল শিশু! সিসিটিভির ফুটেজে তোলপাড়

অযোধ্যার মূল মামলার শুনানি শুরু হচ্ছে আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে। নমাজ মামলার রায়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দিয়েছে, ওই মামলার উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না এ দিনের রায়। কিন্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠালে শুনানি ও রায়দান আরও পিছিয়ে যেতে পারে। ফলে ২৯ নভেম্বরই অযোধ্যা মামলার শুনানি শুরু হবে।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement