National news

প্রতিবেশীর বেনামী সম্পত্তি ধরিয়ে দিলে পেতে পারেন কোটি টাকা

সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি)-এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহকারীর দেওয়া তথ্যে যেন কোনও রকম ফাঁক না থাকে। তথ্য সরবরাহকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে তাঁর নিরাপত্তার স্বার্থেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৬:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

বেনামী সম্পত্তির মালিকের হদিশ দিতে পারলেই মিলবে আর্থিক পুরস্কার। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। আর্থিক পুরস্কারের অর্থমূল্যও নেহাত কম নয়! এক কোটি টাকা।

Advertisement

কালো টাকার হদিশ পেতে সরকার নোটবন্দি থেকে শুরু করে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে ঠিকই, কিন্তু এই ‘রোগ’-এর শিকড়ে কার্যত পৌঁছতে পারেনি। আবার সব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তথ্যের অভাবে পৌঁছতেও পারছে না আর্থিক তদন্তকারী সংস্থাগুলিও। এ বার একেবারে শিকড় উপড়ে ফেলার জন্য অভিনব পন্থার আশ্রয় নিতে চাইছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: দল নয় দেশ বড়, বারাণসীতে কৃষক সভায় বললেন মোদী

Advertisement

বিষয়টা ঠিক কী?

ইন্ডিয়া টুডে-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি)-এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহকারীর দেওয়া তথ্যে যেন কোনও রকম ফাঁক না থাকে। তথ্য সরবরাহকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে তাঁর নিরাপত্তার স্বার্থেই। গত বছরেই বেনামী সম্পত্তি সংক্রান্ত আইন চালু করেছিল সরকার। ধরা যাক, প্রতিবেশীর কয়েক জনের বেনামী সম্পত্তি রয়েছে। দিনে দিনে ফুলেফেঁপে উঠছে সম্পত্তি। গোপনে সেই সব ব্যক্তির তথ্য তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিলেই কেল্লা ফতে। তবে তথ্যটা একদম পাকাপোক্ত হওয়া চাই বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।

আরও পড়ুন: চোখ রাঙালেই মিলবে যোগ্য জবাব: রাজনাথ

তিনি আরও জানিয়েছেন, এ ধরনের পুরস্কারের প্রথা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, আয়কর দফতরে চালু আছে। কিন্তু পুরস্কারের অর্থমূল্য এরকম আকর্ষণীয় নয়। বেনামী সম্পত্তির মালিকদের খুঁজে বের করা আয়কর দফতর এবং প্রশাসনের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয়। ওই আধিকারিক জানাচ্ছেন, কাজটা আরও সহজ হবে যদি এ কাজে ইনফর্মারদের কাজে লাগানো যায়। আর পুরস্কারের অর্থমূল্য যদি আকর্ষণীয় হয়, তা হলে কাজটা আরও বেশি সহজ হয়ে যাবে। এবং সহজেই খুঁজে বের করা যাবে বেনামী সম্পত্তির মালিকদের। অর্থ মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই সিবিডিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পন্থা ঘোষণা করবে। আশা করা হচ্ছে, আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরের মধ্যেই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন