আশীর্বাদ: দলাই লামার কাছে আনসু। গুয়াহাটিতে। —নিজস্ব চিত্র।
এভারেস্ট অভিযানে তুষার ধসের কবল থেকে কোনওমতে বেঁচেছিলেন তিনি। পর্বতারোহীর স্বামী জানিয়েছিলেন, দুই সন্তানের মা-কে আর কিছুতেই পাহাড়ে চড়তে দেবেন না।
কিন্তু ‘পায়ের নীচে সর্ষে’ অরুণাচলের বমডিলার আনসু জানসেমপার। তা-ই ফের তিনি রওনা দিলেন এভারেস্টে। অভিযানের আগে আশীর্বাদ নিতে গুয়াহাটির হোটেলে দেখা করলেন দলাই লামার সঙ্গে।
আগেও তিন বার এভারেস্টে উঠেছেন আনসু। শেষ বার ভূমিকম্প, তুষার ধসে অভিযান মাঝপথে থামিয়ে ফিরেছেন। এ বার তাঁর লক্ষ্য, এক বারেই দু’দফায় বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের। তিব্বতি ধর্মগুরুর হাতেই কার্যত আনসুর অভিযানের ‘ফ্ল্যাগ অফ’ হল। আনসুকে আশীর্বাদ করে দলাই লামা বলেন, ‘‘তোমার জেদ, অধ্যবসায়েই এক কৃতিত্ব অর্জন করেছ। এ বারও জয়ী হবে।’’ তিনি আনসুর হাতে ভারতের পতাকা তুলে দেন। এভারেস্টের মাথায় ওই পতাকাই ওড়াবেন আনসু।
আরও পড়ুন: গোমাংসে নিষেধ অজমের দরগার
আনসু বলেন, ‘‘পাহাড়ের টান এড়াতে না পেরে ফের এভারেস্টে যাচ্ছি। অনেক কষ্টে রাজি করিয়েছি পরিবারকে। যাত্রার শুরুতে জীবন্ত বুদ্ধের আশীর্বাদ পেলাম। আশা করি সাফল্য মিলবেই।’’ এ দিকে, মঙ্গলবারই আনসুর শহর বমডিলায় পৌঁছন দলাই লামা। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী হেলিকপ্টারে লুম লার তারা মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেখান থেকে যেতেন তাওয়াং। কিন্তু গুয়াহাটিতে খারাপ আবহাওয়ায় হেলিকপ্টারে বৌদ্ধ ধর্মগুরুকে পাঠানোর ঝুঁকি নেয়নি প্রশাসন। তিনি বমডিলায় দু’রাত থেকে দিরাং হয়ে তাওয়াং যাবেন।