প্রতীকী ছবি।
দেশের এক ‘প্রথম সারির’ রাজনৈতিক নেতার উপর প্রাণঘাতী হামলার ছক বানচাল করল কলকাতা পুলিশ। নিরাপত্তার স্বার্থে ‘টার্গেট’ রাজনীতিবিদের নাম প্রকাশ্যে আনতে চান না তদন্তকারীরা। যে রাজনীতিবিদ এই মুহূর্তে দেশের শীর্ষ সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকেরা এটুকু জানিয়েছেন, ওই রাজনীতিবিদের উপর হামলার দিনক্ষণ-সময়ও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে সেই ছক জানতে পারে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। তাদের দেওয়া সূত্র অনুসারেই শুক্রবার ভোররাতে মুম্বইয়ের যোগেশ্বরী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ৩২ বছরের যুবক ফয়জল মির্জাকে। ফয়জলকে গ্রেফতার করে চাঞ্চল্যকর তথ্যের হদিশ পায় মুম্বই ও কলকাতা পুলিশের যৌথ তদন্তকারী দল।
পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ফয়জল তার আত্মীয়ের কাছে শারজায় যায়। সেখানেই লস্কর-ই-তৈবার এক সদস্যের হাত ধরে দুবাই ঘুরে পাকিস্তানে পৌঁছয় সে। পাক জঙ্গি শিবিরে অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ শেষ হলে তাকে ফেরত পাঠানো হয় মুম্বইতে। এই গোটা ষড়যন্ত্রের পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের শীর্ষ নেতা আমির রেজা খান এবং লস্কর-ই-তৈবার হাত রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তাদের ধরতে আমরা যৌথ ভাবে তল্লাশি চালাচ্ছি, জানান কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক। ফয়জলকে জেরা করে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র-সহ ভারতের একাধিক শহরে বড়সড় নাশকতার ছকও কষা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই এই গোটা পরিকল্পনায় সামিল আরও কিছু জেহাদির হদিশ পেয়েছে তদন্তকারীরা। ফয়জলকে জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে, ঠিক কোথায় কোথায় হামলার ছক কষা হয়েছিল।
আরও পড়ুন
পঞ্চমের সুরে স্বাগত মোদীকে