Heavy Rainfall

প্রবল বর্ষণে দুর্ঘটনার জের, হিমাচল, গুজরাতে মৃত্যু হল সাত জনের, এখনই থামছে না বৃষ্টি

সিমলার কোঠখাইয়ের কলালা গ্রামে ধস নেমে মারা গিয়েছে এক নেপালি দম্পতি। দুর্ঘটনার সময় ভেম বাহাদুর এবং তাঁর স্ত্রী শীলা নিজেদের অস্থায়ী ঘরে ছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৫:৫৯
Share:

এখনই বৃষ্টি থামছে না হিমাচল প্রদেশে। আগামী বুধবার পর্যন্ত হতে পারে ভারী বৃষ্টি। — ফাইল চিত্র।

দেশের বেশ কিছু অংশে এখনও লাগাতার বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তার জেরে ভূমিধস, হড়পা বানে বিপর্যস্ত জনজীবন। সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে উত্তরাখণ্ড, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশে। বৃষ্টি সংক্রান্ত দুর্ঘটনার জেরে গত দু’দিনে হিমাচল এবং গুজরাতে মারা গিয়েছেন সাত জন।

Advertisement

চলতি বর্ষায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হিমাচল প্রদেশ। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু জানিয়েছেন, চলতি বর্ষার মরসুমে হড়পা বানের কারণে সে রাজ্যে আট হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। গত ৭৫ বছরে এত বড় বিপর্যয় দেখেনি হিমাচল। কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে পরিদর্শনে এসেছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের বিপর্যয় তহবিল থেকে ২০২২-২৩ সালের বকেয়া ৩১৫ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে।

এই হিমাচলেই শনিবার দু’টি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিমলার কোঠখাইয়ের কলালা গ্রামে ধস নেমে মারা গিয়েছে এক নেপালি দম্পতি। দুর্ঘটনার সময় ভেম বাহাদুর এবং তাঁর স্ত্রী শীলা নিজেদের অস্থায়ী ঘরে ছিলেন। ধসের জেরে সেটি ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় দু’জনের। নেপাল থেকে সিমলায় শ্রমিকের কাজ করতে এসেছিলেন তাঁরা। অন্য দিকে সিমলার রোহরু এলাকায় হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে একটি ধাবা। মারা গিয়েছেন ধাবার মালিক এক বৃদ্ধ দম্পতি এবং তাদের নাতি। লায়লা খাড়িতে আচমকা হড়পা বান আসায় এই কাণ্ড। এখনও তিন জনের খোঁজ চলছে। এই হড়পা বানে আরও বেশ কিছু বাড়ি ভেঙে ভেসে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে গাড়ি।

Advertisement

তবে হিমাচলে এখনই থামছে না বৃষ্টি। রবিবার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত সে রাজ্যে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া দফতর। জারি করেছে হলুদ সতর্কতা। আগামী ২৪ ঘণ্টা চাম্বা, কাংড়া, সিরমৌর, কুলু, মাণ্ডি, কিন্নরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গত ২৪ জুন হিমাচলে বর্ষা প্রবেশের পর থেকে এখন পর্যন্ত বৃষ্টি সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ১৫৪ জন। এখন পর্যন্ত রাজ্যের ক্ষতি হয়েছে ৫,০৭৭ কোটি টাকা।

বর্ষায় বিপর্যস্ত গুজরাতও। রাজ্যের দক্ষিণে এবং সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে লাগাতার ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জুনাগড়ে শনিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ২৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জলস্রোতে ভেসে গিয়েছে বহু গাড়ি, গবাদি পশু। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। শুক্রবার রাতে গুজরাত সংলগ্ন দাদরা-নগরহাভেলি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সিলভাসায় জলস্রোতে ভেসে গিয়েছে একটি গাড়ি। তাতে সওয়ার বাবা এবং ছেলের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের ১৩টি জেলাতেই ভারী বৃষ্টির কারণে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন