মাওবাদী হানা, হত ৭ জওয়ান

ছত্তীসগঢ়ের সুকমা জেলায় মাওবাদী হামলায় নিহত হলেন রাজ্য পুলিশের সাত জওয়ান। আহত ১২ জন। গ্রীষ্মের শুরুতে নতুন ভাবে এলাকা দখলের অভিযান শুরু করে মাওবাদীরা। এই হামলা তারই অঙ্গ বলে মনে করছেন নিরাপত্তাবাহিনীর কর্তারা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রায়পুর শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:২৪
Share:

চিকিৎসা চলছে আহত জওয়ানদের। দোরনাপালের কাছে সিআরপিএফ শিবিরে। — নিজস্ব চিত্র।

ছত্তীসগঢ়ের সুকমা জেলায় মাওবাদী হামলায় নিহত হলেন রাজ্য পুলিশের সাত জওয়ান। আহত ১২ জন। গ্রীষ্মের শুরুতে নতুন ভাবে এলাকা দখলের অভিযান শুরু করে মাওবাদীরা। এই হামলা তারই অঙ্গ বলে মনে করছেন নিরাপত্তাবাহিনীর কর্তারা।

Advertisement

সুকমার পিড়মেল-পোলামপল্লি এলাকায় মাওবাদীদের গতিবিধি বরাবরই বেশি। আগেও বহু বার ওই এলাকায় আক্রান্ত হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। ২০১০ সালে ওই এলাকায় এক মাওবাদী হামলায় ৭৬ জন জওয়ান নিহত হন।

ওই এলাকারই দোরনাপাল-চিন্তাগুফা এলাকার জঙ্গলে আজ টহল দিচ্ছিল রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের একটি দল। ৭৬ জন জওয়ানের ওই দলটির উপরে আচমকা হামলা চালায় মাওবাদীরা। শুরু হয় গুলির লড়াই। রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (মাওবাদী দমন) আর কে ভিজ জানিয়েছেন, হামলায় ৭ জন জওয়ান নিহত হন। আহত হন ১২ জন। আহত ও নিহত জওয়ানদের অস্ত্রশস্ত্র লুঠ করে পালায় মাওবাদীরা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা হলেন প্লাটুন কম্যান্ডার শঙ্কর রাও, হেড কনস্টেবল রোহিত সোধি ও মনোজ বাঘেল এবং কনস্টেবল মোহন ভি কে, রাজকুমার মারকাম, কিরণ দেশমুখ ও রাজমন তেকাম।

Advertisement

হামলার খবর পাওয়ার পরেই পাশের একটি শিবির থেকে ঘটনাস্থলে যায় সিআরপিএফের দু’টি দল। মাওবাদীদের খোঁজে জঙ্গল ঘিরে তল্লাশি শুরু করেছে তারা। আহত জওয়ানদের কপ্টারে জগদলপুর ও রায়পুরের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। নিহতদের দেহ কাঁকেরলঙ্কা এলাকায় রাখা হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য ওই এলাকায় কপ্টার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই আগামিকাল দেহগুলি নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। নিরাপত্তাবাহিনীর অফিসারদের মতে, প্রতি গ্রীষ্মের শুরুতেই নতুন ভাবে এলাকা দখল করার জন্য অভিযান চালায় মাওবাদীরা। গত মার্চের শুরু থেকেই সেই অভিযান শুরু হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই অভিযানেই বড় আঘাত হানতে পারল তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন