(বাঁ দিকে) অসমে হামলার দৃশ্য। প্রয়াত জ়ুবিন গার্গ (ডান দিকে) ছবি: সংগৃহীত।
গায়ক জ়ুবিন গার্গের মৃত্যুর মামলায় ধৃতদের উপর হামলার চেষ্টা হয়েছিল দিন তিনেক আগেই। সেই ঘটনায় এ বার জ়ুবিনের বেশ কয়েক জন ‘অনুরাগী’কে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, অসমের বক্সা জেলার ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদেরও খোঁজ চলছে।
শনিবার বক্সার সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) উজ্জ্বলপ্রতিম বড়ুয়া জানিয়েছেন, গত তিন দিনে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এসএসপি বলেন, ‘‘জ়ুবিনের অনুরাগীর ছদ্মবেশে আসলে যাঁরা হিংসায় উস্কানি দিয়েছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় জ়ুবিনের প্রকৃত ভক্তদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিছু অভিযুক্ত পলাতক। তবে আমরা শীঘ্রই তাঁদের গ্রেফতার করব। আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তদন্তের জন্য একটি দলও গড়া হয়েছে।’’
বুধবার জ়ুবিনের মৃত্যুতে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় গুয়াহাটির একটি আদালত। আদালতের নির্দেশে পাঁচ জনকে বক্সার একটি জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁদের। সে সময় পুলিশের কনভয়ের উপর অতর্কিতে হামলা করে উন্মত্ত জনতা। অনুরাগীরা দাবি করতে থাকেন, অভিযুক্তদের তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়ে যায়। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হতে থাকে। জেলের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী এবং সাংবাদিক আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। গোটা জেলা জুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শুক্রবার তা ফের চালু হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মতো ধৃতদের বক্সা জেলেই রাখা হয়েছে। জেলের আশপাশে আরও জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।