ছত্তীসগঢ়ে গুলির লড়াইয়ে নিহত শীর্ষ মাওবাদী নেতা-সহ ১০ জন। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ছত্তীসগঢ়ের গড়িয়াবন্দ জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হলেন মাওবাদী নেতা মনোজ। অনেকের কাছেই তিনি মোডেম বালাকৃষ্ণ নামেও পরিচিত। তাঁর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। শুধু তিনি একা নন, নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আরও ন’জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, মইনপুর জঙ্গলে মাওবাদীরা ঘাঁটি গেড়েছে— গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছিল। সিআরপিএফের কমান্ডো বাহিনী ‘কোবরা’ এবং পুলিশের বিশেষ দল এই অভিযান চালায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গড়িয়াবন্দ জেলার জঙ্গল এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই শুরু হয়। সেই অভিযানে মাওবাদীদের একাধিক সিনিয়র নেতা নিহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
কর্তৃপক্ষের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বিকেলের পরও অভিযান চলছে। অভিযান পুরো শেষ হওয়ার পরেই নিহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে। ওই জঙ্গল এলাকায় আর কোনও মাওবাদী ঘাঁটি রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করার কাজ চলছে।
বস্তুত, আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ থেকে নকশালবাদ নির্মূল করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি ছত্তীসগঢ়ের বিভিন্ন প্রান্তে ধারাবাহিক অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। দিন কয়েক আগে জানা যায়, ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় আধাসেনা আরও ৩০টি ঘাঁটি খুলছে। শুধু তা-ই নয়, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে আরও গতি আনার কথাও জানিয়েছিল সিআরপিএফ। জঙ্গলযুদ্ধে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘কোবরা’ বাহিনীও মাওবাদী উপদ্রুত এলাকাগুলিতে সক্রিয় থাকবে বলেও জানানো হয়। বৃহস্পতিবারের অভিযানে সেই ‘কোবরা’ বাহিনীর গুলিতেই নিহত হন মাওবাদীরা। ছত্তীসগঢ় পুলিশের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২৩০ জনের বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বস্তার এলাকাতেই নিহত হয়েছেন ২০৯ জন মাওবাদী। সাম্প্রতিক সময়ে বস্তার-সহ ওই ডিভিশনের বিজাপুর, কাঙ্কের, সুকমা, দান্তেওয়াড়া-সহ বিভিন্ন জেলায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী।