ছত্তীসগঢ়ে একসঙ্গে আত্মসমর্পণ আরও ২১ মাওবাদীর। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এ বার আত্মসমর্পণ করলেন আরও ২১ জন মাওবাদী। রবিবার ছত্তীসগঢ়ের কাঁকের জেলায় একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করেছেন তাঁরা। সঙ্গে ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্রও তুলে দিয়েছেন পুলিশের হাতে।
রবিবার এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে ‘পুনা মার্গেম’ উদ্যোগের আওতায় অস্ত্র সমর্পণ করেছেন ২১ জন মাওবাদী। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন মহিলা রয়েছেন। এ ছাড়া রয়েছেন ডিভিশন কমিটির সচিব মুকেশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আত্মসমর্পণ করা সকলেই ‘নিষিদ্ধ’ ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)-র কেশকাল বিভাগের কুয়েমারি ও কিসকোডো এরিয়া কমিটির সদস্য।
এই ২১ জনের মধ্যে চার জন ডিভিশনাল কমিটি, ন’জন এরিয়া কমিটি এবং বাকি আট জন দলের নিম্নস্তরের সদস্যপদে রয়েছেন। আত্মসমর্পণ করার পাশাপাশি তিনটি একে-৪৭, দু’টি ইনসাস রাইফেল, চারটি এসএলআর রাইফেল, ছ’টি ০.৩০৩ রাইফেল, দু’টি সিঙ্গল শট রাইফেল এবং একটি ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র নেতাকর্মীদের বার বার মূলস্রোতে ফেরার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণ করে মাওবাদীরা যদি মূলস্রোতে ফিরতে চান, তবে তাঁদের স্বাগত জানানো হবে। পাশাপাশি, হুঁশিয়ারি দিয়ে শাহ জানিয়েছেন, আগামী বছর ৩১ মার্চের মধ্যে গোটা দেশ মাওবাদীমুক্ত হবে। সেই আবহে আত্মসমর্পণ করছেন একের পর এক মাওবাদী। এর আগে গত ১৭ অক্টোবর বস্তার জেলার জগদলপুরে মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রূপেশ ওরফে সতীশ-সহ মোট ২১০ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন— যাঁদের সম্মিলিত মাথার দাম ছিল মোট ৯.১৮ কোটি টাকা। সঙ্গে ১৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্রও হস্তান্তর করেছিলেন তাঁরা। তা ছাড়া, চলতি মাসের শুরুতে বস্তারের বিজাপুরে ১০৩ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন।