Shabnam Ali

উচিত শাস্তি হয়েছে শবনমের, দেশের প্রথম মেয়ের ফাঁসির অপেক্ষায় দিন গুনছে পরিবার

শবনমের পরিবার চাইছে ঘরের মেয়ের ফাঁসিতে যাতে কোনও বাধা-বিঘ্ন না আসে।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:০৫
Share:

শবনম আলি।

সাতটি খুনের পরে ১৩ বছর কেটে গিয়েছে। তবু ফাঁসির আসামী শবনম আলির পরিবার তাকে ক্ষমা করতে পারেনি। বরং তাঁদের একটাই চাওয়া। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফাঁসি হোক শবনমের।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে স্বাধীনতার পর শবনমই হবেন দেশের প্রথম মহিলা অপরাধী,যার ফাঁসি হবে। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর ফাঁসি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। মথুরা জেলে ফাঁসির প্রস্তুতি শুরু হলেও শেষপর্যন্ত ফাঁসি হবে কি না, তা নিয়ে এখনও কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে শবনমের পরিবার চাইছে ঘরের মেয়ের ফাঁসিতে যাতে কোনও বাধা-বিঘ্ন না আসে। আদালতের নির্দেশ যেন দ্রুত কার্যকর হয়। অপেক্ষা যেন শেষ হতেই চাইছে না, এটাই তাঁদের বিরক্তির একমাত্র কারণ।

২০০৮ সালে নিজেরই পরিবারের সাত জন সদস্যকে ঠাণ্ডা মাথায় গলার নলি কেটে খুন করেছিল শবনম। বাবা-মা, দুই ভাই, তাঁদের স্ত্রী এমনকি ৯ মাসের ভাইপোকেও ছাড়েনি সে। প্রথমে ঘুমের ওষুধ মেশানো পানীয় খাইয়ে অচেতন করে দিয়েছিল। তারপর প্রেমিককে ডেকে পাঠিয়ে কুঠারের আঘাতে একে একে খুন করেছে সকলকে।
প্রথমে অস্বীকার করলেও ধরা পড়ার পর সেই রাতের বিবরণ শবনমই জানিয়েছিল পুলিশকে। বলেছিলেন, কী ভাবে পরিবারের ৬ সদস্যকে খুন করার পর প্রেমিককে বিদায় জানিয়েছিলেন। তারপর হঠাৎ ৯ মাসের ভাইপোর কান্না শুনে চমকে গিয়েছিলেন তিনি। কী ভাবে অন্ধকার ঘরে দু’পায়ের ফাঁকে টর্চ ধরে, ৯ মাসের শিশুটির মুখ চেপে ধরে ছুরির আঘাতে নিথর করে দিয়েছিল সে।

Advertisement

কাকিমা ফাতিমা, শবনম ও কাকা সাত্তার আলি।

কেন? পরিবারের অপরাধ এটুকুই যে, বাড়ির শিক্ষিত ডাবল এমএ পাশ করা মেয়েকে তাঁরা ষষ্ঠ শ্রেণিতে স্কুলছুট এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিতে চাননি। সেই প্রেমিক, সেলিমের সাহায্যেই পরিবারের ছ’জনকে হত্যা করেন শবনম।

হত্যার ভয়াবহ বিবরণ শুনে শিউরে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বাওয়ানখেড়ি গ্রাম। এতটাই যে, আজও ওই গ্রামে কোনও শিশুর নাম শবনম রাখা হয় না।

গ্রামে শবনমের বাড়িতেই থাকেন তাঁর কাকা সাত্তার আলি ও কাকিমা ফাতিমা। শবনমের ফাঁসির প্রসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, ভাইঝির প্রতি তাঁদের বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নেই। বরং তাঁরা যা বললেন তাতে স্পষ্ট, শবনমের মতো মেয়ে পরিবারের কলঙ্ক। তার জীবন শেষ হলেই তাঁরা বাঁচেন।

সবনমের কাকিমা ফতিমা স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘সউদি আরবি এধরনের অপরাধীদের সঙ্গে যেমন নৃশংসতা শাস্তি দেওয়া হয়, ওদের সঙ্গেও তা-ই হওয়া উচিত।’’

যদিও সেলিমের মা জানিয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিগত কোনও ইচ্ছে নেই। তবে তিনি বিষয়টি ঈশ্বরের উপরই ছেড়েছেন। তিনি মনে করেন, প্রাপ্য শাস্তি পাবে অপরাধীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন