অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের জোট-বৈঠককে গুরুত্বই দিলেন না বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আজ এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে বিরোধী জোট তৈরির উদ্যোগ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সব ভোটের আগেই এ ধরনের পদক্ষেপ হয়। তবে যে জেতার, সে-ই জেতে।’’ অমিতের দাবি, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপি-বিরোধী হাওয়া ওঠার প্রশ্নই নেই। দিল্লির চাণক্যপুরীর রোডের মতোই মসৃণ হবে নরেন্দ্র মোদীর জয়। ২০১৪ সালের থেকে বেশি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসবে এনডিএ।
কিন্তু অনেকে বলছেন, মমতা-কেসিআরের জোট প্রচেষ্টাকে বিজেপি সভাপতি যে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন না, সেটাও তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁদের মতে, রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে ইউপিএ-৩ যাতে দানা বাঁধতে না পারে সে জন্য কৌশলে কেসিআর-কে আসরে নামিয়েছে বিজেপি। তারা চায় কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আঞ্চলিক দলগুলির জোট হোক। যাতে বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হয়। আর সেই কারণেই নবান্নের জোট বৈঠক নিয়ে সরাসরি মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন অমিত।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের দুই উপনির্বাচনে মায়াবতী-অখিলেশ একজোট হওয়ায় বিজেপি ধরাশায়ী হয়েছে। সে কারণে অমিত আজ বারবার বলেন, সব আসনে বিজেপি যাতে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পায়, সেই কৌশল নিয়েই এগনো হবে। মোদী বারাণসী থেকেই লড়বেন বলে জানান তিনি।
নীরব মোদী প্রসঙ্গে অমিত বলেন, এটি ‘সিস্টেম’-এর দোষ। প্রধানমন্ত্রীর নয়। কংগ্রেস আমলের দুর্নীতির সঙ্গে এর মিল নেই। কারণ, তখন মন্ত্রীদের প্রত্যক্ষ মদতে দুর্নীতি হয়েছিল। সম্প্রতি রাহুল গাঁধী অমিত শাহকে ‘হত্যায় অভিযুক্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। বিজেপি সভাপতি বলেন, তিনি যে শুধু আদালত থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছেন তা-ই নয়, আদালত বলেছে, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি।