Ayodhya Ram Temple

অযোধ্যায় শুরু ৬ কোটি বছরের প্রাচীন শালগ্রাম শিলার পূজা, তা দিয়েই গড়া হবে রামের বিগ্রহ

নেপালের কালীগণ্ডকী জলপ্রপাত থেকে তুলে আনা ৩৫ টন ওজনের ওই জীবাশ্ম প্রস্তর দু’টি উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মন্দির থেকে বুধবার অযোধ্যায় আনা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

অযোধ্যা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৩
Share:

শালগ্রাম শিলা নিয়ে অযোধ্যায় শোভাযাত্রা। ছবি: পিটিআই।

এক সপ্তাহ ধরে প্রায় পৌনে ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অযোধ্যার রাম জন্মভূমিতে পৌঁছল ৩৫ টন ওজনের দু’টি শালগ্রাম শিলাখণ্ড। নেপালের কালীগণ্ডকী জলপ্রপাত থেকে তুলে আনা ওই জীবাশ্ম প্রস্তর দিয়েই তৈরি করা হবে রামের বিগ্রহ।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মন্দির থেকে বুধবার অযোধ্যায় আনা হয় দু’টি শালগ্রাম শিলা। রামমন্দির ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাইয়ের তত্ত্বাবধানে অযোধ্যায় ঢোকার আগে সরযূ নদীর সেতুর কাছে ট্রাকবাহী শিলাখণ্ড দু’টিকে বরণ করেন কয়েক হাজার মানুষ। এর পর শোভাযাত্রা করে নিয়ে যাওয়া হয় করসেবক পুরমে। বৃহস্পতিবার থেকেই করসেবক পুরমে শুরু হয়েছে শিলাপূজন। পূজা শেষ হওয়ার পরে শিলাখণ্ড দু’টি অর্পণ করা হবে রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের কাছে।

রামের পাশাপাশি সীতা, লক্ষ্মণ, ভরত এবং শত্রুঘ্নের বিগ্রহও নির্মাণ করা হবে এই শিলা দিয়ে। প্রসঙ্গত, শালগ্রাম শিলাকে ভগবান বিষ্ণুর প্রতিভূ বলে মানা হয়। তাই সেই শিলা দিয়েই রামন্দিরের বিগ্রহ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার গঠিত ট্রাস্ট। যার পোশাকি নাম, ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে তিন মাসের মধ্যে ট্রাস্ট গড়ে রামমন্দির নির্মাণের পরিচালন ভার তুলে দিতে বলেছিল। সেই মেয়াদ শেষের মাত্র তিন দিন আগে, দিল্লির বিধানসভার ভোটের আবহে ২০২০-র ৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাস্ট গড়েছিল মোদী সরকার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, আগামী বছরের লোকসভা ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করে ধীরে ধীরে অযোধ্যার রামমন্দির প্রচার জোরদার করবে সঙ্ঘ পরিবার। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে গেল সেই তৎপরতা?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন