কর্নাটকের সেই ডিআইজি (কারা) ডি রূপা।- তাঁর টুইটারের সৌজন্যে।
উত্তরপ্রদেশের পর এ বার কর্নাটক।
রাজ্যে যাঁরা ক্ষমতার মসনদে, তাঁদের কাজকর্মের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে বা প্রকাশ্যে সে কথা বলায় কী ভাবে রাজরোষের শিকার হতে হয়, এ বার তার দৃষ্টান্ত মিলল কর্নাটকে। এআইএডিএমকে নেত্রী শশীকলাকে জেলে ‘ভিআইপি ট্রিটমেন্ট’ দেওয়া হচ্ছে, সাংবাদিকদের সামনে তা ফাঁস করে দেওয়ায় শুক্রবার রাজ্যের ডিআইজি (কারা) ডি রূপাকে শো-কজের নোটিস ধরিয়েছে কর্নাটক সরকার। তার আগে উত্তরপ্রদেশে এক বিজেপি নেতা মাথায় হেলমেট পরেননি, এই অভিযোগে তাঁর জরিমানা করেছিলেন এক মহিলা পুলিশ অফিসার। তার জেরে তাঁকে বিস্তর হেনস্থার শিকার হতে হয়। তার পরেও তিনি ভুল করেননি বলায় তাঁকে সূদূর প্রান্তে বদলিও করা হয়।
একই ভাবে মুখ খুলে খুব বিপদে পড়ে গিয়েছেন কর্নাটকের ডিআইজি (কারা) ডি রূপাও। তাঁর অভিযোগ, শুধু শুধুই তাঁকে শূলে চড়ানো হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে অবিচার হচ্ছে।
জেলে এআইএডিএমকে নেত্রী শশীকলাকে ‘ভিআইপি ট্রিটমেন্ট’ দেওয়ার খবর সাংবাদিকদের সামনে ফাঁস করে দিয়েছিলেন রূপা। আর তার জন্যই এখন কর্নাটক সরকার দোষারোপ করছে রূপাকে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি সার্ভিস রুল ভেঙেছেন, এই অভিযোগে রূপাকে শো-কজ নোটিস ধরিয়েছে কর্নাটক সরকার।
আরও পড়ুন- ছায়াপথের ঝাঁক ‘সরস্বতী’ আবিষ্কার করলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা
দৃশ্যতই অসহায় কর্নাটকের ডিআইজি (কারা) রূপার বক্তব্য, ‘‘বেছে বেছে শুধু আমাকেই টার্গেট করা হচ্ছে। এটা খুবই অশোভন। ব্যবস্থা যদি নিতেই হয়, তা হলে সকলের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। শুধুই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কেন?’’
কেন অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন রূপা?
কর্নাটকের জিআইজি (কারা) বলেছেন, ‘‘আমিই প্রথম সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলিনি। খোদ রাজ্য (কর্নাটক) পুলিসের ডিজি-ই সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলেছেন। আমার আগে মুখ খুলেছেন উনি (রাজ্য পুলিশের ডিজি) আর বলেছেনও সবিস্তারে। তা হলে তো সার্ভিস রুলটা সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তদন্ত নিরপেক্ষ ভাবে হোক। আমি সহযোগিতা করতে রাজি আছি।’’
সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলার জন্য শুক্রবার সকালেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সই করা শো-কজ নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হয় রূপাকে। পরে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এটা খুবই অন্যায় কাজ করেছেন ডিআইজি (কারা)। আমরা ওঁর কাছে কৈফিয়ত চেয়েছি।’’