ফোনের অন্য প্রান্তে বাবা ও সৎ মা পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। ‘‘তুমি এক বার বলেছিলে শিনা হঠাৎ উধাও হয়ে গেলেই বা কী?’’ প্রশ্নকর্তা রাহুল মুখোপাধ্যায়। রাহুলের সঙ্গে পিটার-ইন্দ্রাণীর কথোপকথনের এমনই ২০টি টেপ তাদের হাতে এসেছে বলে দাবি একটি নিউজ চ্যানেলের। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, টেপগুলি আগেই তাদের হাতে এসেছে। ৭টি টেপের বিষয়বস্তু শিনা বরা হত্যার চার্জশিটে ব্যবহারও করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের দাবি, রাহুলের সঙ্গে শিনার সম্পর্ক গোড়া থেকেই পছন্দ ছিল না ইন্দ্রাণী ও পিটারের। শিনা উধাও হয়ে যাওয়ার পরে ইন্দ্রাণী-পিটারকে বারবার ফোন করেন রাহুল। টেপগুলি থেকে জানা যাচ্ছে, রাহুল শিনাকে নিয়ে লাগাতার উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন। পিটার-ইন্দ্রাণী কখনও তাঁকে বুঝিয়েছেন, শিনা ভাল আছেন। কখনও বলেছেন, শিনা হয়তো বিদেশে চলে গিয়েছেন। কখনও আবার বলেছেন রাহুলের এ বার শিনাকে ভুলে এগিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে। কিন্তু শিনা কোথায় আছেন জানতে চাইলেই এড়িয়ে গিয়েছেন পিটার-ইন্দ্রাণী। বলেছেন, জানা নেই। একবার সরাসরি রাহুল জানতে চান, শিনা কি মারা গিয়েছে? উত্তরে ইন্দ্রাণী বলেন, ‘‘আমি যা জানি তোমাকে আগেই বলেছি। মিথ্যে বলছি না।’’
নিউজ চ্যানেলটির দাবি, রাহুল আসলে গোড়া থেকেই সন্দেহ করেছিলেন যে শিনা উধাও হওয়ার পিছনে পিটার-ইন্দ্রাণীর হাত আছে। তাই তিনি ফোনে কথোপকথন টেপ করে নেন। টেপগুলি রাহুলই তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
এ দিনও মুম্বইয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে শিনা মামলার শুনানি ছিল। বিচারের গতি বাড়াতে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করেছেন বিচারক। তখনই চার্জ গঠনের জন্য সওয়াল শুরু করবেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হওয়া টেপের ফলে ‘সমান্তরাল বিচার’ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে এ দিন সওয়ালের সময় মন্তব্য করেন পিটারের আইনজীবী।