শীতের চোখ রাঙানি থামাতে পারেনি পর্যটকের ঢল। বরং ফুটফুটে সাদা শিমলার অপরূপ সৌন্দর্য চাক্ষুস <br> করতে অনেকেই পাড়ি জমিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের রাজধানীতে।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, চলতি বছর শিমলায় তাপমাত্রা সর্বনিম্ন হয়েছিল -০.৬ ডিগ্রি পর্যন্ত। কিন্তু চলতি সপ্তাহে <br> সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে শিমলার তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে -৩.২ ডিগ্রির আশেপাশে।
শিমলার কোনও কোনও জায়গায় ৮৩ সেন্টিমিন্টার পুরু বরফের আচ্ছাদনে ঢেকে গিয়েছে।
শিমলার শীতলতম স্থান লাহাউল জেলার কেলং। সেখানে রাতে তাপমাত্রা নামছে -১৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
ঠান্ডার দৌড়ে কম যায় না মানালিও। -৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিয়ে ক্রিজে মাটি কামড়ে রয়েছে সেও।
শীত যত বাড়ছে, পর্যটকও ততই বাড়ছে শিমলায়। যেন মেলা বসে গিয়েছে। কেউ সেলফিতে মগ্ন, কেউ বা মুগ্ধ বরফে।
তবে হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, তাপমাত্রা আরও নামার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আবহাওয়ার আরও অবনতি হতে পারে।
আবহবিদদের ব্যাখ্যা, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দ্বিমুখী ভূমিকাই মূলত শাসন চালায় শীতের উপর। এ বছরের প্রথম <br> সপ্তাহতেই কাশ্মীর, হিমাচল, উত্তরাখণ্ডে পরপর তিনটি ঝঞ্ঝার প্রভাবে <br> ব্যাপক তুষারপাত হয় উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। এতেই জোরদার হয় শীতের দাপট।