রাহুল গাঁধী
চা-শিঙাড়া, নিজস্বী। ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে প্রচার শুরু করলেন রাহুল গাঁধী।
আজ সকালে ভোপাল পৌঁছে পুজো সেরে, ১১ জন পুরোহিতের আশীর্বাদ নিয়ে মেগা রোড-শো শুরু করেন রাহুল। দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার পথে রাহুলের রোড-শোতে সাড়াও পড়েছে। তার পরেই জনসভা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করেন কংগ্রেস সভাপতি। মধ্যপ্রদেশে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে কংগ্রেস। তবে বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে রাহুলের রোড শো-তে আজ যে ব্যাপক ভিড় হয়েছে, তাতে উজ্জীবিত কংগ্রেস নেতৃত্ব।
‘শিবভক্ত’ রাহুলের নামে শহরজুড়ে লাগানো হয়েছিল পোস্টার। সকালে শহরে পৌঁছে একটি বাসে চড়ে শুরু হয় কংগ্রেস সভাপতির ‘সংকল্প যাত্রা’। তাঁকে এক বার দেখতে পথের পাশে ভিড় করেছিলেন সমর্থকেরা। এক সময়ে বাস থেকে নেমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যান রাহুল। প্রচারের মধ্যেই পথে একটি
দোকানে নেমে চা-শিঙাড়া খেতে দেখা যায় তাঁকে। দোকানির সঙ্গে নিজস্বীও তোলেন।
চার ঘণ্টার রোড শো-র পরে জনসভায় মোদীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাহুল। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘সবথেকে বড় কেলেঙ্কারি’ আখ্যা দেন। তাঁর অভিযোগ, কালো টাকাকে সাদা করতেই মোদী সরকার এ কাজ করেছে। জনতার উদ্দেশে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘ছোট ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা নিয়ে সব থেকে ধনী ১৫ জনের কাছে তা পৌঁছে দিতেই এই কেলেঙ্কারি।’’ রাহুলের প্রশ্ন, ‘‘নোট বাতিলের পরে বিজয় মাল্য, অনিল অম্বানীদের লাইনে দাঁড়াতে দেখেছেন কি?’’
মাত্র পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে যে চাষি, তাঁর ঋণ মকুব করতে মোদী সরকারের উৎসাহ নেই। অথচ এরাই ১৫ জন শিল্পপতিকে দেড় লক্ষ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে— অভিযোগ আনেন রাহুল। প্রতিশ্রুতি দেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের চাষিদের সব ঋণ মকুব করে দেবে।
জিএসটি, রাফাল নিয়েও এ দিন মোদীকে আক্রমণ করেন রাহুল। মোদী সরকারের কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘কংগ্রেস ৭০ বছরে যা করেনি, এই সরকার ৪ বছরে তা করে ফেলেছে।’’ রাহুলের মন্তব্য, ‘‘সংসদে যখন রাফাল যুদ্ধবিমানের কথা তুলেছিলাম, প্রশ্ন করেছিলাম সরকার কেন ৭০০ কোটি টাকার বিমান ১৬০০ কোটি টাকায় কিনছে, কেন বরাত দেওয়া হয়েছে অনিল অম্বানীদের— আমি মোদীজির চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, উনি এদিক-এদিক, উপরে-নীচে তাকাচ্ছিলেন। কিন্তু আমার চোখে চোখ রাখতে পারেননি।’’