আমার শর্তে তোমাকে চাই, শিবসেনাকে বিজেপি

চাপ বাড়িয়ে একেবারে নিজের শর্তে এ বার শিবসেনাকে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় চাইছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে বিজেপি ধুমধাম করে নিজেদের সরকার গড়ে ফেলেছে। এর পর মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীস এ দিন শিবসেনার সঙ্গে জোট সরকারে যেতে আশাপ্রকাশ করেছেন। তাঁর মন্তব্য, “শিবসেনার সঙ্গে আলোচনা চলছে। মনে হয়, ওদের সঙ্গে মিলে শক্তিশালী জোট সরকার গড়ে তোলা সম্ভব হবে।” তবে আলোচনার প্রক্রিয়া চলার সময়েই মন্ত্রিসভার দফতর বন্টন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৩৯
Share:

চাপ বাড়িয়ে একেবারে নিজের শর্তে এ বার শিবসেনাকে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় চাইছে বিজেপি।

Advertisement

মহারাষ্ট্রে বিজেপি ধুমধাম করে নিজেদের সরকার গড়ে ফেলেছে। এর পর মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীস এ দিন শিবসেনার সঙ্গে জোট সরকারে যেতে আশাপ্রকাশ করেছেন। তাঁর মন্তব্য, “শিবসেনার সঙ্গে আলোচনা চলছে। মনে হয়, ওদের সঙ্গে মিলে শক্তিশালী জোট সরকার গড়ে তোলা সম্ভব হবে।” তবে আলোচনার প্রক্রিয়া চলার সময়েই মন্ত্রিসভার দফতর বন্টন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিবসেনার চোখ রয়েছে এমন বেশ কিছু দফতর নিজেদের হাতেই রেখে দিয়েছেন তিনি। রাজস্ব ও কৃষি একনাথ খাডসের হাতে। বিনোদ তাওদে শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়নের দায়িত্ব পেয়েছেন। পঙ্কজা মুন্ডে গ্রামোন্নয়ন এবং মহিলা ও শিশুকল্যাণ দফতর পেয়েছেন। আর স্বরাষ্ট্র নিজের হাতেই রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষার আগে ও জোট সরকারের আলোচনার মধ্যেই কয়েকটি বিষয় বিজেপি স্পষ্ট করে দিয়েছে। এক, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শপথের ‘মেগা-শো’ দেখিয়ে দিচ্ছে, রাজ্যে বিজেপির সরকার হয়েছে। উদ্ধব ঠাকরে সেখানে দর্শক হিসেবে এসেছেন। দুই, উপমুখ্যমন্ত্রী বা স্পিকারের পদ শিবসেনাকে দেওয়া হবে না। তিন, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য শিবসেনাকে প্রয়োজন নেই। চার, এই রকম পরিস্থিতিতে মন্ত্রক বণ্টন নিয়ে শিবসেনা যেন চাপ সৃষ্টির চেষ্টা না করে। তা বিজেপির পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হবে না।

Advertisement

তবুও কেন জোটের বার্তা? বিজেপির এক শীর্ষস্থানীয় নেতার মতে, নভেম্বরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে হলে কোনও সমস্যাই নেই। কেননা, এনসিপির কক্ষত্যাগের সিদ্ধান্তই সব অঙ্ক সরল করে দিয়েছে। তবে এ ভাবে সংখ্যালঘু সরকার নিয়ে বেশি দিন ভাল ভাবে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই উদ্ধবদের সঙ্গে নিয়ে চলার ভাবনা। নিজেদের শর্তে তাঁদের টেনে আনার চেষ্টা। মহারাষ্ট্রে ৩০টির মতো মন্ত্রকের সূযোগ রয়েছে। শিবসেনা চাইছে ১৪টি। বিজেপি ১০টি পর্যন্ত যেতে পারে বলেই খবর। তবে গুরুত্বপূর্ণ দফতর নিয়ে কোনও চাপ মেনে নেওয়ার পক্ষপাতী নন মোদী, অমিত শাহরা। এর পরেই জোটের দরজা খুলে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি।

তবে শিবসেনাও যত দূর সম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছে মন্ত্রকের ভাগ নেওয়ার। উদ্ধব ঠাকরে বিজেপি নেতৃত্বের হাতে এ নিয়ে একটি তালিকাও তুলে দিয়েছেন। শক্তি পরীক্ষার আগেই মন্ত্রক নিয়ে ফয়সালা চান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন