Bharat Jodo Yatra

রাহুলের যাত্রায় ইতিবাচক ফলের আশা শিবসেনার

গত সেপ্টেম্বরে কন্যাকুমারী থেকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করেছিলেন রাহুল। এ মাসে কাশ্মীরে পৌঁছে সেই যাত্রা শেষ হওয়ার কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:০৯
Share:

গত চার মাসের যাত্রায় রাহুল যে ভাবে জনসমর্থন পেয়েছেন তাতে বেশ চিন্তায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। ছবি: পিটিআই।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় যে জনসমর্থন পাচ্ছেন, তাতে উদ্বিগ্ন বিজেপি নেতৃত্ব। পদ্মশিবিরের সেই উদ্বেগকে আজ উস্কে দিলেন প্রাক্তন এনডিএ শরিক শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। দলীয় মুখপত্রে তিনি লিখেছেন, যে ভাবে রাহুল এগোচ্ছেন, তা চলতে থাকলে আগামী বছর দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিবসেনার পাশাপাশি, রাহুলের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। জেডিইউ-র শীর্ষ নেতার বক্তব্য, রাহুলে তাঁদের অ্যালার্জি নেই। সনিয়া-পুত্র বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলেও আপত্তি নেই নীতীশের দলের।

Advertisement

গত সেপ্টেম্বরে কন্যাকুমারী থেকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করেছিলেন রাহুল। এ মাসে কাশ্মীরে পৌঁছে সেই যাত্রা শেষ হওয়ার কথা। গত চার মাসের যাত্রায় রাহুল যে ভাবে জনসমর্থন পেয়েছেন তাতে বেশ চিন্তায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। যাত্রার প্রভাব যদি ভোটের বাক্সে প্রতিফলিত হয় সে ক্ষেত্রে টানা তিন বার কেন্দ্রে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাপে পড়তে হবে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহকে। এই যাত্রার ফলে রাজনৈতিক নেতা হিসাবে রাহুলের গ্রহণযোগ্যতা যে বেড়েছে তা ঘরোয়া ভাবে মেনে নিচ্ছেন বিজেপি নেতারাও। এই প্রবণতা জারি থাকলে কেন্দ্রে ক্ষমতার পরিবর্তনের সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয়। এই উদ্ধব ঠাকরে- ঘনিষ্ঠ ওই সাংসদ আজ দলীয় মুখপত্রে লিখেছেন, ‘২০২২ সাল রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। যদি ২০২৩ সালেও ওই প্রবণতা বজায় থাকে, তা হলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখতে পাব’। সঞ্জয়ের মতে, রাহুলের ওই পরিবর্তনে ভয় পাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই কারণে ওই যাত্রা দিল্লিতে পৌঁছলে তা আটকাতে সব ধরনের চক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও যাত্রা সফল।

নিজের নিবন্ধে শিবসেনা নেতার ইঙ্গিত, যাত্রা সফল হলে রাহুল বিরোধী শিবিরের প্রধান নেতা হিসাবে উঠে আসবেন। এই কংগ্রেস নেতা যদি বিরোধী দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হন তা হলে শিবসেনার কোনও আপত্তি নেই বলে বেশ কয়েকবার ঘরোয়া ভাবে মেনে নিয়েছেন দলীয় নেতারা। গত কাল রাহুলের সমর্থনে এগিয়ে এসেছিলেন নীতীশও। তিনি জানিয়েছিলেন, রাহুল যদি বিরোধী শিবিরে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী হন তাহলে তাঁর আপত্তি নেই।

Advertisement

দলীয় মুখপত্রে রাউত স্পষ্ট জানিয়েছেন, পরিকল্পিত ভাবে ঘৃণা ও বিচ্ছিন্নতার বীজ বপন করছে শাসক শিবির। তা রুখতে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান করেন। রাউতের কথায়, ‘‘যে ভাবে বিচ্ছিন্নতার বীজ বপণ করা হচ্ছে তাতে আগামী দিনে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে দেশভাগের মতোই নতুন করে বিভাজন রেখা তৈরি হবে।’’ রাউতের মতে রাম মন্দির প্রসঙ্গ মূল্যহীন হয়ে পড়ায় এখন ধর্মান্তরণের মতো বিষয় নিয়ে সমাজে বিভাজনরেখা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন