এনএসজি এবং লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট ‘তেজস’ ছাড়াও রাজপথে এ দিনের মহড়ায় অংশ নিল বিমানবাহিনী জাগুয়ার স্কোয়াড, ২৭ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্টের এয়ারক্র্যাফ্ট ‘আকাশ’, মেকানাইজড ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট, ভারতীয় সেনাবাহিনীর মিসাইল ফায়ারিং ট্যাঙ্ক ‘ভীষ্ম’, বিএসএফের ঘোড়সওয়ার ও উটসওয়ার বাহিনী, গোর্খা রাইফেলস।
ভারতের রাজপথে এ দিন প্যারেডে অংশ নিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির যুবরাজ শেখ মহম্মদ বিন জাভেদ আলি নহিয়ানের ১৪৯ জনের সুরক্ষাবাহিনী।
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এ দিন শহিদ হাবিলদার হঙ্গপান দাদা’কে অশোকচক্র দিয়ে সম্মানিত করেন। ২০১৬-র ২৭ মে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিলেন হঙ্গপান দাদা। এ দিন এই পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী।
দেশের প্রতিটি রাজ্যের তরফেই ছিল সুসজ্জিত ট্যাবলো। ছিল প্রাক্তন সেনা অফিসারদের তৈরি ট্যাবলোও।
এ দিন প্রজাতন্ত্র দিবসের শুরুতেই ওল্টানো ‘Y’ আকারে সজ্জিত চতুর্থ এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টার থেকে ফুলের পাপড়ি ছড়ানো হয় রাজপথে। তার পরেই আমিরশাহির প্যারেডের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’তে বীর শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর, সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত, বায়ুসেনা প্রধান বীরেন্দ্র সিংহ ধনোয়া এবং নৌসেনা প্রধান সুনীল লাম্বা।
এ দিনই আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মহম্মদ বিন জাভেদ আলি নহিয়ানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতীয় তেল সংস্থার উদ্বৃত্ত অপরিশোধিত তেল মজুত করার অধিকার নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতাপত্র সই হয়েছে।
চিল্ড্রেন পিজেন্ট সেকশনে এ দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে প্রায় ৬০০ ছাত্রছাত্রী। তিনটি স্কুল থেকে বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল শিশুরা।